Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Joe Biden

অভিবাসন নীতিতে সংস্কারে বাইডেনের উদ্যোগকে সাধুবাদ পিচাই-কুকদের

৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমেরিকার নাগরিকত্ব আইন ২০২১ নামে একটি বিল কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন বাইডেন।

পিচাই-কুকদের মতে, বাইডেনের প্রস্তাব মেনে অভিবাসন আইনে সংস্কার হলে আখেরে লাভবান হবে আমেরিকা।

পিচাই-কুকদের মতে, বাইডেনের প্রস্তাব মেনে অভিবাসন আইনে সংস্কার হলে আখেরে লাভবান হবে আমেরিকা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৩৫
Share: Save:

আমেরিকার অভিবাসন আইনে আমূল সংস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করলেন গুগ্‌লকর্তা সুন্দর পিচাই এবং অ্যাপলের টিম কুক। তাঁদের মতে, বাইডেনের প্রস্তাব মেনে অভিবাসন আইনে বড়সড় রদবদল হলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি বিশ্বের প্রতিভাবান কর্মীদের কর্মনৈপুণ্যের ফায়দাও তোলা সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে এবং আখেরে লাভবান হবে আমেরিকা।

বুধবার আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অভিবাসন আইনে একগুচ্ছ রদবদলের প্রস্তাব করেছেন বাইডেন। আমেরিকার নাগরিকত্ব আইন ২০২১ নামে ওই বিলটি কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন তিনি। ওই বিলে আমেরিকার নারগিকত্ব লাভের জন্য গ্রিন কার্ড পাওয়ার সময়সীমা কমানো হয়েছে। গ্রিন কার্ডের জন্য সুযোগ পাবেন নথিভুক্তহীন অভিবাসী ও তাঁদের পরিবারবর্গ। পাশাপাশি, প্রতিটি দেশ থেকে যে সংখ্যক কর্মী গ্রিন কার্ডের আবেদন করেন, তাঁদের ঊর্ধ্বসীমাও সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির কর্ণধারদের একাংশ একে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁদের মতে, এতে লাভবান হবেন ভারতের দক্ষ কর্মীরা। গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষার সময়ও কমবে।

বাইডেনের প্রস্তাবের প্রশংসা করে অ্যাপলের মতো সংস্থার সিইও টিম কুক বুধবার একটি বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘এতে আমেরিকাকে আরও শক্তিশালী করবে। এ ছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে যে সুযোগের অপেক্ষায় দেশ ছিল, সেই পথও সুগম হবে। অভিবাসন আইনে ব্যাপক সংস্কার হলে ন্যায়বিচার, ন্যায্য অধিকার এবং মর্যাদার আমেরিকার মূল্যবোধও রক্ষিত হবে’।

কুকের মতোই বাইডেনের উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছেন গুগ্‌ল-এর সিইও সুন্দর পিচাই। অভিবাসন নীতিতে সংস্কার ছাড়াও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টা নিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁর টুইট, ‘গুগ্‌ল সব সময়ই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমর্থন জুগিয়েছে। অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য নতুন প্রশাসনকে সাহায্যে আমরা মুখিয়ে রয়েছি’।

এই মুহূর্তে আমেরিকায় প্রায় ১ কোটি ১ লক্ষ নথিভুক্তিহীন অভিবাসী বসবাস করছেন। আমেরিকার অভিবাসী নীতিতে আমূল সংস্কারের ফলে তাঁদের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সে দেশে ভারত বা চিনের যে বিপুল সংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী চাকরির আবেদন করেন, তাঁদের এতে ফায়দা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE