চাকরি পাওয়ার জন্য তামিল সিনেমা ‘ড্রাগন’-এর মতো কৌশল ব্যবহার করেছিলেন এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। তবে, ছলচাতুরি করে চাকরি বাগিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। চাকরিতে যোগ দেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় ধরা পড়ে গেলেন তেলঙ্গানার সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাপা সাই প্রশান্ত। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ইনফোসিসে একটি পদের জন্য ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারের সময় প্রশান্ত তাঁর বদলে এক বন্ধুকে বসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই চাকরি পেয়েও যান তিনি। গোল বাধে চাকরিতে যোগদান করার পর। তাঁর ইংরেজি বলার ধরন দেখে সন্দেহ হয় সহকর্মীদের। সংস্থার মানবসম্পদ দফতর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে। সেখানেই ধরা পড়ে প্রশান্তের কারচুপি।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
একটি চাকরির পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করার পর, নিয়োগকারী সংস্থার কর্মী শিব প্রকাশ প্রশান্তের নথিপত্র পর্যালোচনা করেন। সেগুলি তিনি ইনফোসিসে পাঠিয়ে দেন। ইনফোসিস একটি ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার নেয় এবং এই বছরের ২০ জানুয়ারি প্রশান্তকে একটি অফার লেটার পাঠায় সংস্থা। কয়েক দিন পরে সহকর্মীরা প্রশান্তকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। কারণ তাঁদের মনে হয়েছিল সাক্ষাৎকারে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে প্রশান্তের কণ্ঠস্বর মিলছে না। এ ছাড়াও তাঁর ইংরেজি বলার দক্ষতা নিয়েও সন্দেহ শুরু হয়। ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারের সময় যিনি কথা বলেছিলেন তাঁর ইংরেজি ছিল ঝরঝরে ও সাবলীল। প্রশান্ত পড়াশোনায় দক্ষ হলেও যোগাযোগের ভাষা বা কথা বলার ক্ষেত্রে তাঁর সমস্যা ছিল। তদন্ত চলাকালীন প্রশান্তের সাক্ষাৎকারের স্ক্রিনশটগুলি পরীক্ষা করে দেখে মানবসম্পদ দফতরের কর্মীরা। তাঁর ছবির সঙ্গে তুলনা করে তাঁরা বুঝতে পারেন যে প্রশান্তের বদলে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন অন্য কেউ।
প্রশান্ত তেলঙ্গানার বাসিন্দা। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি হায়দ্রাবাদে চলে যান। প্রতারণার পরও প্রশান্ত তাঁর ১৫ দিনের কাজের জন্য বেতন দাবি করেছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।