Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
George Floyd

খুনই করা হয়েছে জর্জ ফ্লয়েডকে, দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে

চেক জালিয়াতির অভিযোগে গত সপ্তাহে মিনিয়াপলিসে জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় পুলিশ।

হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে রাখা পুলিশের এই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে রাখা পুলিশের এই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

সংবাদ সংস্থা
মিনিয়াপোলিস শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ১৪:০৩
Share: Save:

শ্বাসরোধ করে খুনই করা হয়েছিল ৪৬ বছরের জর্জ ফ্লয়েডকে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা আমেরিকা। তার মধ্যেই জর্জ ফ্লয়েডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে সাফ বলা হয়েছে, হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরেছিল পুলিশ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জর্জ ফ্লয়েডের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এটা খুনের ঘটনা।

এর আগে, জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের তরফে আলাদা করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। তাতেও গোটা ঘটনাকে খুন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। শরীরে অক্সিজেন পৌঁছতে না পারায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানানো হয়। এ বার হেনেপিন কাউন্টি মেডিক্যাল একজামিনারের দফতরের তরফে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও একই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গলায় চাপ পড়ায় কার্ডিয়োপালমোনারি অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন জর্জ।

এ ছাড়াও জর্জ হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তাঁর শরীরে মেথাম্ফেটামাইন ওষুধের উপস্থিতি মিলেছে বলেও জানানো হয় ওই রিপোর্টে। তবে গোটা ঘটনাকে খুন বলে উল্লেখ করলেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে নাকি অনিচ্ছাকৃত ভাবে, তা বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঙ্কারে ট্রাম্প! ‘ভয়’ দেখাচ্ছে আমেরিকার বিক্ষুব্ধ জনতা​

চেক জালিয়াতির অভিযোগে গত সপ্তাহে মিনিয়াপলিসে জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় পুলিশ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে বার বার আর্জি জানাতে থাকলেও, হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে বসে থাকেন ডেরেক শওভিন নামের এক পুলিশ কর্মী। জর্জের পিঠের উপর চাপ দিয়ে বসেছিলেন আরও দুই পুলিশকর্মী। তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জর্জ ফ্লয়েডের।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই বিক্ষোভ শুরু হয় দেশ জুড়ে। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তা হিংসাত্মক আকারও ধারণ করেছে। গোটা ঘটনায় ডেরেক শওভিন নামের ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থার্ড ডিগ্রি মার্ডার এবং নরহত্যার চার্জ আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কোর্টে তোলা হবে তাঁকে। ঘটনার সময় তাঁকে সাহায্য করার জন্য আরও তিন পুলিশকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ভারত সীমান্তে চিন আগ্রাসী হয়ে উঠছে’, সমালোচনা আমেরিকার​

তবে তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নেমে এসেছেন বিশিষ্টজনেরাও। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সরকারের উপরই গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তাঁরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy