যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। —ফাইল চিত্র।
গাজ়ার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন ‘মৃত্যুপুরী’। হামাস কিংবা প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির দাবি নয়, রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে এমনটা জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু)।
গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতাল কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হলেও সম্প্রতি প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে একটি সমীক্ষা চালায় হু-সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঁচটি সংগঠনের সদস্যেরা। ইজ়রায়েলি সেনার সমীক্ষকদের জন্য একটি ‘সেফ করিডর’ তৈরি করে দেয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই সমীক্ষা। সমীক্ষার কাজ শেষ করার পর হু প্রাথমিক ভাবে জানায়, হাসপাতালটির বর্তমান অবস্থা ‘বিপজ্জনক’। হাসপাতালটির প্রবেশপথে একটি বড় সমাধিক্ষেত্রেরও সন্ধান পান সমীক্ষা চালাতে যাওয়া সদস্যেরা।
পরে হু-র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “হাসপাতালের ভিতরে বিস্ফোরণ এবং গুলি চলার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষকেরা একটি বড় কবরের সন্ধান পেয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, ওই কবরে অন্তত ৮০টি দেহ রয়েছে না। হু-র তরফে জানানো হয়েছে, গাজ়ার সবচেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক হাসপাতালে পরিষ্কার জল, প্রয়োজনীয় জ্বালানি, ওষুধ এবং খাবারের অভাব রয়েছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালে রয়েছেন ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯১ জন রোগী। তাঁদের মধ্যে ৩২ জন শিশুর অবস্থা অতি সঙ্কটজনক।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অসুস্থ এবং আহতদের গাজ়ার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিবৃতির শেষে আরও এক বার গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার ডাক দিয়েছে হু। তবে এই নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ইজ়রায়েলের উপর চাপ বাড়লেও সম্প্রতি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, পণবন্দিদের ছাড়ার বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে হামাসের কোনও চুক্তি হয়নি। বন্দিদের ছাড়া না হলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার প্রশ্নই ওঠে না বলে আগেই জানিয়েছে ইজ়রায়েল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy