রাস্তায় টহল ফরাসি সেনার। ছবি: এএফপি।
অবশেষে দায় স্বীকার। নিসের সন্ত্রাসবাদী হামলার ২৪ ঘণ্টা পরে হামলার দায়িত্ব নিলে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পাশাপাশি নিসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করেছে ফ্রান্সের নিরাপত্তা সংস্থা। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করলেও ফরাসি প্রশাসন কিন্তু এখনই এটাকে মেনে নিতে রাজি হচ্ছে না। কেননা তদন্ত চালিয়ে দেখা গিয়েছে বুহলেলের ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাঁর জঙ্গিযোগের কোনও সূত্র হাতে আসেনি বলে দাবি প্রশাসনের।
শুক্রবার নিসে বাস্তিল দিবস উদ্যাপনে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিলেনে। উত্সবের আনন্দে মাতোয়ারা মানুষের ভিড়ে ট্রাক চালিয়ে ৮৪ জনকে পিষে মারে মোহামেদ লাহুআইয়েজ বুহলেল। আহত হয় ২০০ জন। এই ঘটনার পর গতকাল সারা দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি নিয়ে চর্চা করে জেহাদিরা। ঘটনার প্রশংসা করে পোস্টারও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আইএস-এর পক্ষ থেকে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়নি। এ দিন ‘আমাক’ সংবাদ সংস্থায় জানানো হয়েছে, লাহুআইয়েজ আইএস-এর এক যোদ্ধা। সিরিয়া ও ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে যে জোট লড়াই চালাচ্ছে তাদের নাগরিকদের হত্যা করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই ডাকেই সারা দিয়েছে লাহুআইয়েজ।
ফ্রান্সের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, লাহুআইয়েজ ট্রাকটি চালানোর সময়ে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছে বলে অনেকে দেখেছেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও সে রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এখনও লাহুআইয়েজের সঙ্গে সরাসরি আইএস-এর সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। সন্দেহ হচ্ছিল, জেহাদি মতাদর্শ দীক্ষা নিয়ে একলাই সে হামলা চালিয়েছিল। যাকে ‘লোন উলফ অ্যাটাক’ বলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের হামলা চালানোর প্ররোচনা দেয় আইএস। আইএসের দায় স্বীকারের মধ্যে সেই সন্দেহই আরও জোরালো হচ্ছে। যদিও লাহুআইয়েজ-এর মধ্যে মৌলবাদের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার কোনও লক্ষণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে ফ্রান্সের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে। অন্য দিকে, কাল ও আজ মিলিয়ে পাঁচ জনকে নিসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে বলে। ঘটনাস্থল থেকে সূত্র খোঁজার কাজ চলেছে। কী করে ট্রাকটি সমুদ্রে পাশের এই রাস্তায় এল তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ দিন ঘটনাস্থলের আশেপাশে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে শহরের কেন্দ্রে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে। শহরে জুড়ে বেশ কিছু জায়গায় বাড়তি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
আরও খবর...
ফের রক্তাক্ত ফ্রান্স, বাস্তিল উৎসবে ট্রাক হানা, নিহত ৮৪, আহত অন্তত ২০০
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy