রাতে বাড়ির শৌচাগারে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। দরজা ঠেলে শৌচাগারের মধ্যে ঢুকতেই আঁতকে উঠলেন তিনি। কোনও রকমে শৌচাগারের দরজা বন্ধ করে ছুট দিলেন তিনি। তার পর আর রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। এমনকি, আতঙ্কের জেরে সারা রাত না ঘুমিয়েই কাটান পরিবারের বাকি সদস্যরা।
কিন্তু কী এমন দেখলেন শৌচাগারে ওই ব্যক্তি? যার জন্য রাতের ঘুমের বারোটা বাজল তাঁর! সেখানে শুয়ে ছিল নাকি আস্ত একটি বাঘ! আর তা দেখেই ‘বাঘ, বাঘ’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। শৌচাগারের মধ্যে আস্ত বাঘ ঢুকল কী ভাবে! বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন:
খবর দেওয়া হয়েছিল বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে। পরের দিন দুপুরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে এসে শৌচাগারের দরজা খুলতেই লাফিয়ে পালাল সেই ‘বাঘ’। তবে সে আক্রমণ করেনি। বরং সারা রাত শৌচাগারের মধ্যে বন্দি থাকার পর মুক্তির আনন্দে দৌড় দিয়েছে। বাঘ বেরোল, আর কাউকে কিছু করল না? এমনও হয়!
আরও পড়ুন:
হ্যাঁ, হয়। কারণ আসলে এটি তো বাঘ নয়। শৌচাগারের মধ্যে বাঘের মতো দেখতে যে প্রাণীটি শুয়ে ছিল, সেটি আসলে বাঘরোল। রাতের বেলায় বাঘের মতো দেখতে পেয়ে বাঘরোলকেই ‘বাঘ’ ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের রামভদ্রপুর গ্রামে।