দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের আগুন নেভাচ্ছে দমকল। রবিবার কেপটাউনে। ছবি রয়টার্স।
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট ভবন। ভবনের পুরনো দিকটিতে ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। দমকলের ৩৬টি ইঞ্জিন ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুনকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরেই পার্লামেন্ট চত্বরে যান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। কী ভাবে আগুন লাগল সে সম্পর্কে সরকারি ভাবে রাত পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার টিভি চ্যানেলগুলিতে দেখা গিয়েছে, পার্লামেন্টের একটি তলা থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বার হয়ে আসছে। গলগল করে বার হচ্ছে কালো ধোঁয়া। তাতে বিস্তীর্ণ এলাকার আকাশ ঢেকে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট ভবনটির তিনটি অংশ। সবচেয়ে পুরনোটি তৈরি হয়েছিল ১৮৮৪ সালে। এ ছাড়া ১৯২০ এবং ১৯৮০ সালে আরও দু’টি অংশ নির্মিত হয়েছিল। এই পার্লামেন্ট ভবনের খুব কাছেই রয়েছে ক্যাথিড্রাল, যেখানে কাল সমাহিত করা হয়েছে আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুকে।
পার্লামেন্ট ভবনে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে যান রামাফোসা। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। ডেসমন্ট টুটুর প্রয়াণে দেশ জুড়ে শোকের আবহ। তার মধ্যেই এমন ঘটনা। অগ্নিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ দমকলকর্মীদের প্রশংসা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার মাত্র ছ’মিনিটের মধ্যে পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছয় দমকল। প্রথমে ৩০ সদস্যের একটি দল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে দমকলকর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৮০ করা হয়। দেশের পূর্তমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া ডি লিলি প্রথমে বলেছিলেন, ‘‘আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (নিম্নকক্ষ) আগুন এখনও জ্বলছে।’’ কেপটাউনের মেয়রাল কমিটির নিরাপত্তা বিষয়ক সদস্য জে পি স্মিথ জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের পুরনো ভবনটির ছাদ সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভবনের বাকি অংশের আর কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো ভবনে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য ও প্রত্নসামগ্রী রয়েছে। সেগুলির কী অবস্থা তা, জানা যায়নি। এক তলার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে হবে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে আগুন লেগেছিল তিন তলার একটি অফিসে। তা দ্রুত অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। দমকলকর্মীদের অনুমান, কাঠের মেঝে এবং তার উপরে কার্পেট বিছানো থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পার্লামেন্ট ছুটি থাকায় সব অফিস বন্ধ ছিল। ফলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy