(বাঁ দিকে) মৃত দুলাল সরকার। দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে পুলিশের হাতে ধৃত এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদহ আদালত। হত্যা মামলায় আর এক ‘মূল অভিযুক্ত’ স্বপন শর্মাকেও শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁরও পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। স্বামীর খুনের মামলায় বিচারক কী নির্দেশ দেন, তা শুনতে আদালতে হাজির ছিলেন স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার। পেশায় আইনজীবী চৈতালি বলেন, ‘‘কেউ তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কি না, বুঝতে এসেছিলাম।’’ পাশাপাশি বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছেও আবেদন করেছেন দুলালের স্ত্রী।
শুক্রবারই দুলাল ওরফে বাবলা খুনে ধৃতদের জেরা করে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রও। খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং দু’টি ওয়ান শটার। গত ২ জানুয়ারি আততায়ীরা যে পোশাক পরে দুলালকে খুন করতে এসেছিল, সেগুলোও পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল নেতা খুনে সদ্যবহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’কে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী চৈতালি। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে আইনজীবী। তাই জন্য আদালতে এসেছি। কোন দিকে তদন্ত এগোচ্ছে, কেউ প্রভাবিত করছে কি না, সেটা দেখার দরকার ছিল।’’ ধৃত নরেন্দ্রনাথের পক্ষে যাতে বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবী না দাঁড়ান, সে জন্য তিনি একটি পিটিশন করেন।
আদালত সূত্রের খবর, দুলাল খুনের ঘটনায় একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি মিলেছে ধৃত সাত জনের মধ্যে এক জনের কাছ থেকে। তাঁর নাম অমিত রজক। সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল বলেন, ‘‘এই তদন্তে আরও অগ্রগতির জন্য ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। তা মঞ্জুর করেছে আদালত। দুলাল সরকারের খুনের আগে এবং পরে কথোপকথন-সহ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গিয়েছে মোবাইলটি থেকে। ধৃত সাত জনেরই ‘ভয়েস স্যাম্পল’ সংগ্রহ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy