জঙ্গির সঙ্গে কথা বলতে চান? নিমেষে সেই চাহিদা পূর্ণ করবে ইন্টারনেট! সারা দিন-রাত সেখানে উপস্থিত রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। বুধবার কলোরাডোর একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে এফবিআই প্রধান জেমস কমি জানালেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে অস্ত্র করেই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ছাপিয়ে যাচ্ছে আল কায়দাকেও!
জেমসের মতে, জানা তথ্যের বাইরেও যে ভাবে ফাঁদ পেতে রেখেছে আইএস জঙ্গিরা, তাতে ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে ধর্ম রাজ্য গঠনের পাশাপাশি আইএসের নতুন এক মন্ত্রের কথা জানিয়েছেন জেমস। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, যারা বিভিন্ন দেশ থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় পৌঁছে ধর্ম-যুদ্ধে সামিল হচ্ছে, তাদের বাইরেও বহু মানুষকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রভাবিত করছে আইএস। ওই গোষ্ঠীর নতুন মন্ত্র ‘যেখানে আছো, সেখানেই মারো’। অর্থাৎ যারা দেশ ছাড়তে পারছে না, কিন্তু মতাদর্শে আইএসের পাশে রয়েছে, তাদের দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার বাইরেও নাশকতা ছড়াতে চাইছে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী।
জেমস জানিয়েছেন, ইংরেজিভাষীদের জন্য ওই গোষ্ঠী একটি টুইটার হ্যান্ডেল তৈরি করেছে। সেখানে সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে বহু মার্কিন নাগরিকও রয়েছে বলে দাবি করছেন জেমস। এফবিআইয়ের আশঙ্কা, আমেরিকায় বসেই বহু মানুষ আইএস-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং নিজের দেশেই নাশকতা ছড়ানোর ছক কষছেন। তারা কারা, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা নেই। জেমসের কথায়, ‘‘প্রযুক্তির জোরে আল কায়দাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আইএস। আল কায়দার সদস্যদের ক্ষেত্রে ই-মেল ছিল যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু আইএস-ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে বার্তা আদান প্রদান করে। ইন্টারনেটে যে কোডের মাধ্যমে কথাবার্তা চলে।’’
গোয়েন্দা এবং এফবিআইয়ের আধিকারিকদের এই নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন জেমস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy