ধৃত পাক ধর্মগুরু মুফতি আজিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত।
লাহৌরের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে ভারতের ধর্মগুরু আসারাম বাপুর উদাহরণ টেনেছে। পাকিস্তান পুলিশের দাবি, আসারামের মতোই যৌন নির্যাতনের অপরাধে প্রভাবশালী ধর্মগুরু মুফতি আজিজুর রহমানের সাজা নিশ্চিত।
সপ্তাহ খানেক আগেই সামনে এসেছিল ভিডিয়ো। পাকিস্তানের ধর্মীয় সংগঠন জামিয়ত-উলেমা-ই-ইসলাম-এর সহকারী আমির তথা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান মঞ্চের নেতা আজিজুর যৌন নির্যাতন করছেন এক পড়ুয়াকে। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার কথা ভেবে প্রাথমিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধায় ছিল পাক পঞ্জাবের পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই পড়ুয়ার এক পরিজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার লাহৌরের মিঁয়াওয়ালি থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭০ বছরের আজিজুরকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেন।
পুলিশি জেরার ইতিমধ্যেই আজিজুর দোষ কবুল করেছেন বলে পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি শরিক জামাল খানের দাবি। তিনি বলেছেন, ‘‘মাদ্রাসার পরীক্ষায় পাশ করানোর লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে ওই পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন করেছেন আজিজুর। জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকারও করেছেন।’’
যৌন নিগ্রহের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে আজিজুরের ছেলেরা ওই মাদ্রাসা পড়ুয়ার পরিবারকে পুলিশে অভিযোগ না করার জন্য হুমকি দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। যৌন নির্যাতন এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেলের সাজা হতে পারে আজিজুরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy