কিছু দিন আগেই ব্রিটিশ দৈনিকগুলোতে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ফেসবুক।
সাদাকালো বিজ্ঞাপনের বয়ান ছিল, ‘‘আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেটা করতে না পারলে, আমাদের কোনও যোগ্যতাই নেই।’’ অথচ সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের ভাবমূর্তির স্বচ্ছতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।
‘টেকক্রাঞ্চ’ নামে একটি মার্কিন অনলাইন সংস্থার (যারা তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত খবর করে থাকে) দাবি, একাধিক সূত্রের কাছ থেকে তারা জেনেছে, তাদেরকে করা মার্ক জুকেরবার্গের পুরনো মেসেজগুলো তাদের ইনবক্স থেকে উড়িয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। শুধু তাদের নিজেদের করা মেসেজগুলো পড়ে রয়েছে ইনবক্সে।
অথচ সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কিন্তু এই কাজ করতে পারেন না। তাঁরা যদি চান, ফেসবুক-বন্ধুকে করা মেসেজ নিজেদের ইনবক্স থেকে মুছে ফেলতে পারেন। কিন্তু বন্ধুর ইনবক্স থেকে মুছতে পারবেন না। তাঁরা সেগুলো দেখতে পাবেন। কিন্তু সেই অদ্ভুত কাণ্ডই ঘটেছে তাদের সঙ্গে, দাবি অভিযোগকারীদের। সেই প্রমাণও দিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষা করতে জুকেরবার্গই এই কাজ করিয়েছেন।
জবাবে ফেসবুক অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। জানিয়েছে, কর্পোরেট নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ করেছে তারা। তাদের বক্তব্য,
২০১৪ সালে বেশ কিছু কর্তাব্যক্তির পাঠানো মেসেজ তারা মুছে দিয়েছিল। একটি বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ‘‘২০১৪-তে সোনি পিকচার্সের ইমেল
হ্যাক হওয়ার পরে সংস্থার কর্তাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তার মধ্যে মেসেঞ্জারে বিভিন্ন বন্ধুকে মার্ক জুকেরবার্গের পাঠানো মেসেজগুলো মুছে দেওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।’’
যদিও তথ্য-চুরির মতো এত বড় অভিযোগ মাথায় নিয়েও, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ইনবক্স থেকে তাদের না জানিয়ে মেসেজ মুছে দেওয়ার মতো কথা চেপে গিয়েছে তারা। ঘোষণা করা তো দূরের কথা, ব্যক্তিগত ভাবেও কিছু জানায়নি। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, এটাও কি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা নয়? এই প্রশ্নটিও করা হয়েছিল ফেসবুককে। কিন্তু কোনও উত্তর দিতে রাজি হয়নি সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy