মাইকেল কোহেন
দোষী সাব্যস্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন। নিউ ইয়র্কের আদালতে মঙ্গলবার এই রায় দিয়ে জানানো হয়, কোহেন নির্বাচনী প্রচারে আর্থিক আইন লঙ্ঘন করেছেন।
কোহেনের অবশ্য দাবি, তিনি ‘প্রার্থী’র (নাম না করলেও ইঙ্গিত ট্রাম্পের দিকেই) নির্দেশে সব কাজ করেছেন এবং নির্বাচন প্রভাবিত করার মূল লক্ষ্য নিয়েই এ কাজ করা হয়েছিল। অর্থাৎ ঠারেঠোরে প্রাক্তন আইনজীবী বুঝিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পই অবৈধ ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিলেন। প্রচারের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ট্রাম্পের ‘গোপন প্রেমিকাদের’ যে অর্থ দেওয়া হয়েছিল, আপত্তি উঠেছে তা নিয়েও।
এই ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও গত মে মাসে তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, এক মহিলাকে অর্থ দেওয়ার জন্য তিনি কোহেনের প্রাপ্য মিটিয়েছেন। এই ঘটনাটি যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন অবশ্য ট্রাম্প দাবি করেন, এ ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গও জানেন না তিনি।
কিন্তু মঙ্গলবার কোহেনের স্বীকারোক্তি থেকে বিশ্লেষকদের বক্তব্য, মক্কেল অপরাধ করতে বলায় তিনি সে কাজ করেছেন এবং তাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সাধারণ ক্ষেত্রে সেই মক্কেলের উপরেও তা হলে দায় বর্তাবে। কিন্তু মক্কেল যখন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তখন কি সাধারণ নিয়ম খাটবে? মার্কিন বিচারবিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় না। তাই জলঘোলা
যতই হোক, প্রেসিডেন্টের গদিতে নিরাপদ ট্রাম্প।
মঙ্গলবার কোহেন আদালতে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা শুল্ক ফাঁকি এবং ব্যাঙ্ক জালিয়াতি-সহ আটটি অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। আর এই স্বীকারোক্তির জন্য তাঁর কারাবাসের মেয়াদ ়৬৫ বছর থেকে কমে ৫ বছর ৩ মাসে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা আইনজীবীদের। কোহেনের সাজা ঘোষণা হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। আপাতত ৫ লক্ষ ডলার দিয়ে জামিন পেয়েছেন তিনি।
একই দিনে ভার্জিনিয়ার আলেকজ়ান্দ্রিয়ায় আর এক আদালতে ট্রাম্পের প্রচার-দলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্টকেও শুল্ক এবং ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কূটনীতিকদের দাবি, আইনি তদন্তের মুখে পড়তে না হলেও, একই সঙ্গে কোহেন এবং ম্যানাফোর্টের এই পরিণতিতে আমেরিকায় নভেম্বরে অন্তর্বর্তিকালীন ভোটের আগে স্বাভাবিক ভাবেই মুখ পুড়ল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy