মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
সংবিধান সংশোধনের কোনও দরকার নেই, স্রেফ প্রশাসনিক নির্দেশনামা জারি করেই নাগরিকত্ব আইন বদলে ফেলা যাবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার মাটিতে জন্মালে নাগরিকত্বের স্বাভাবিক সাংবিধানিক অধিকার অনুপ্রবেশকারী, বেআইনি অভিবাসী এবং অ-নাগরিকদের সন্তানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়ে এসেছে। আমেরিকার মাটিতে জন্মানো মানেই সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকারী। এই ব্যবস্থাটাই তুলে দিতে চান ট্রাম্প। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, এটা করতে গেলে নাকি সংবিধান সংশোধনী আনতে হবে। একেবারেই হবে না।’’ তাঁর দাবি, হোয়াইট হাউসের আইনজীবীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘‘প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশিকা জারি করেই ব্যাপারটা করে ফেলা যাবে।’’
এক সপ্তাহ পরেই আমেরিকায় মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার আগে অভিবাসন নিয়ে এ ভাবেই সুর চড়াচ্ছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান শিবির মনে করছে, তাতে ভোটবাক্সেও ফায়দা হতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র আমাদের দেশেই এ রকম অদ্ভুত একটা নিয়ম আছে। এটা শেষ হওয়া দরকার।’’
যদিও বিরোধীদের মতে, জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার এ ভাবে প্রেসিডেন্টের ইচ্ছায় নাকচ করা যায় না। এটা সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সেনেটে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে। মার্কিন স্টেটগুলির তিন-চতুর্থাংশের সমর্থন দরকার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy