মার্কিন সংস্থাগুলির কাছ থেকে কোনও বিদেশি সরকার বাড়তি কর নিলে সেই দেশের বিরুদ্ধেও পাল্টা কর চাপাবে আমেরিকা। শুক্রবার সকালে (স্থানীয় সময়) এমনটাই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবারই এই করের পরিমাণ ঘোষিত হতে পারে, জানিয়েছেন ট্রাম্প।
আমেরিকার একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতর রয়েছে বিভিন্ন দেশে। অভিযোগ, বেছে বেছে ওই আমেরিকান সংস্থাগুলির কাছ থেকেই আদায় করা হয় ‘ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স’। এ ছাড়া কারণে-অকারণে জরিমানা, ভিন্ন নিয়ম কার্যকর করে বাড়তি টাকা আদায়ের মতো পরিস্থিতিও তৈরি করা হয়। এই ‘বৈষম্য’ আর মুখ বুজে সহ্য করবে না আমেরিকার সরকার, দাবি ট্রাম্পের। তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমেরিকার সংস্থার কাছ থেকে বাড়তি কর আদায় করে অন্য দেশ লাভবান হোক, চান না প্রেসিডেন্ট।’’ ট্রাম্প প্রশাসন এ-ও দাবি করে, আমেরিকান সংস্থার কাছ থেকে কর নিতে পারবে শুধু আমেরিকার সরকারই। অন্য কোনও দেশের সরকার নয়।
আরও পড়ুন:
এই সংক্রান্ত যে কাগজপত্রে সই করেছেন ট্রাম্প, তাতে বলা হয়েছে, কোন কোন দেশে আমেরিকার সংস্থা ‘বৈষম্যের শিকার’, তা খুঁজে বার করতে হবে। প্রথম বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে এই অনুসন্ধান চালু করেছিলেন ট্রাম্প। এখন আবার সেই খাতা নতুন করে খুলছে। সাংবাদিকদের এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ডিজিটাল কর নিয়ে অন্যান্য দেশে আমেরিকান সংস্থাগুলির সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা সাংঘাতিক। ফলে আমরাও ডিজিটাল নিয়ে এ বার পদক্ষেপ করব। হয়তো আজই (স্থানীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার) তা ঘোষণা করা হবে।’’
এর আগে ডিজিটাল কর নিয়ে কানাডা এবং ফ্রান্সের নাম করে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, এই দেশগুলিতে আমেরিকার সব সংস্থা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। শুধু আমেরিকান বলেই তাদের থেকে বাড়তি কর নেওয়া হয়। অভিযোগ, কানাডা এবং ফ্রান্স শুধু আমেরিকান সংস্থাগুলির থেকে কর বাবদ প্রতি বছর ৫০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৩০০ কোটির বেশি টাকা) আদায় করে থাকে। এ সব ক্ষেত্রে আমেরিকা পাল্টা কর চাপালে গোটা প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য আসবে বলে মনে করেন ট্রাম্প।
- দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
- পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
-
আমেরিকার পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাবে ভারত, আশা ট্রাম্পের! মনে করিয়ে দিলেন সময়সীমাও
-
ইউরোপীয় ‘বন্ধু’দের পাশে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী! শুল্কসংঘাতের মাঝে ঝটিকা সফর ফ্রান্স, ব্রিটেনে
-
ফের ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি! ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জও
-
৪ লক্ষ কোটি ডলার মুছে গেল মার্কিন শেয়ার বাজার থেকে! ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থা ওয়াল স্ট্রিটে
-
ওয়াল স্ট্রিটে ধস! ট্রাম্পের মন্তব্যে মন্দা-শঙ্কা মার্কিন লগ্নিকারীদের, বাজার খুলতে পড়ল সেনসেক্সও