আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমাবে ভারত। এমনটাই আশাপ্রকাশ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ বা ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ আরোপের সময়সীমার কথাও। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, যে সমস্ত দেশ আমেরিকার পণ্যে আমদানি শুল্ক চাপাচ্ছে, সেই সমস্ত দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। আগামী ২ এপ্রিল নয়া এই শুল্ক নীতি চালু হওয়ার কথা।
বুধবার আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে সেই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি বিশ্বাস করি তারা (ভারত) ওই শুল্কগুলি কমাবে। কিন্তু ২ এপ্রিল আমি ওদের বিরুদ্ধে ততটাই শুল্ক আরোপ করব, যতটা ওরা আমাদের উপর করে।” ট্রাম্প প্রশাসন পারস্পরিক শুল্ক কার্যকর করলে আমেরিকার বাজারে দামি হবে ভারতীয় পণ্য। ফলে সেগুলির বিক্রি কমার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কমতে পারে রফতানি। শুধু তা-ই নয়, দেশীয় সংস্থাগুলির লাভের অঙ্ক হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়েছে, আমেরিকা এখনও পর্যন্ত ভারতের কোনও পণ্যে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেনি। তবে ট্রাম্প এ ক্ষেত্রে ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদীর ভারতকে কোনও ছাড় দিতে রাজি নন। হোয়াইট হাউসে মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি চায় আমেরিকা। কিন্তু তা শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে নয়! বেশি আমদানি শুল্ক নেওয়ার জন্য সম্প্রতি ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সমালোচনাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।