জঙ্গি হটাতে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন আগেই। এ বার পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের জন্য যত দূর সম্ভব চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত তিন বছরে একটি বারের জন্যও এক টেবিলে বসেনি ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন। সন্ধি নিয়ে একটাও কথা হয়নি যুযুধান দুই দেশে। ট্রাম্প তবু শান্তি ফেরাতেই জেরুজালেম থেকে আজ সরাসরি পা রাখলেন বেথলেহেমে। বিষয়টা যে কঠিন, তা মেনে নিয়েই।
গত কাল এ নিয়ে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক প্রস্ত কথা হয় তাঁর। নেতানিয়াহুর তরফে সাড়া মিলতেই উৎসাহী ট্রাম্প আজ পৌঁছে যান ইজরায়েল অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে। গাড়িতে পাক্কা কুড়ি মিনিটের রাস্তা। মাঝখানে পেরিয়ে আসেন দু’দেশের মাঝের বহু বিতর্কিত ‘বিচ্ছেদের দেওয়াল’। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর ঘিরে প্যালেস্তাইনিদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করেছেন গাজা আর ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে। তবু বেথলেহেমে ট্রাম্পের গাড়ি ঢুকতেই চোখে পড়ল পোস্টার— ‘‘শান্তির দূতকে স্বাগত জানাচ্ছে শান্তির শহর।’’
তা হলে কি প্যালেস্তাইনও রাজি? সরাসরি কেউ মুখ না খুললেও, তেমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্পের সফরসঙ্গী মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনও জানালেন, মধ্যস্থতাকারী আমেরিকাতে টেবিলে রেখেই পরে কখনও আলোচনায় বসতে পারে দুই দেশ। বেথলেহেমে ট্রাম্প দেখা করেন প্যালেস্তাইনি রাষ্ট্রপ্রধান মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরের উদ্দেশ্যকে ‘মহান’ বলে উল্লেখ করেছেন আব্বাস। নেতানিয়াহু কাল বলেছিলেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি চেয়ে ট্রাম্প যে বার্তা দিয়েছেন, আমরাও তার অংশীদার হতে রাজি। চাইব এই অঞ্চলে তাঁর প্রথম সফর শান্তিস্থাপনের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকুক।’’ আজ আব্বাসের কথাতেও সন্ধিতে সায় দেওয়ার সুর।
আরও পড়ুন:দর্শকদের মনের মানুষ আরিয়ানা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy