ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উন। ফাইল চিত্র।
দিন ঠিক হয়েছিল আগেই। এ বার ক্ষণও। হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব সারা স্যান্ডার্স আজ জানিয়ে দিলেন, ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ঠিক সকাল ৯টায় উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার কাছে তবু কাঁটার মতো খচখচ করছে দু’টো বিষয়। প্রথমত, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ কেন হঠাৎ উত্তর কোরিয়ায় যেতে চাইছেন! আর দ্বিতীয়টা, রাশিয়া। পিয়ংইয়্যাংয়েরই একটি সূত্র বলছে, এ বছরের শেষে নাকি কিম নিজেই মস্কো যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। স্যান্ডার্সের দাবি, এ নিয়ে কিমকে যা বলার সরাসরি ট্রাম্পই বলবেন। পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে দরজা সিঙ্গাপুর এই বৈঠকের নিরপেক্ষ আয়োজক হিসেবে তিনটি স্মারক প্রকাশ করেছে। যার একটিতে লেখা রয়েছে ‘বিশ্বশান্তি’।
তবে সিঙ্গাপুরের কোথায় বৈঠক, তা স্পষ্ট নয়। একটি সূত্র বলছে, দক্ষিণের রিসর্ট-দ্বীপ সেন্টোসাকে ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ‘স্পেশাল জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগ্রহ বাড়ছে ক্যাপেলা হোটেলকে ঘিরে। কেউ বলছেন, শাংগ্রি-লা হোটেলেও বৈঠক হতে পারে।
তবে কোন কোন বিষয়ে কথা হবে দুই রাষ্ট্রনেতার, সেটাও এখনও ‘ধরে নেওয়া’র পর্যায়ে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্যান্ডার্স শুধু বলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র-ছাড়া করাটাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। অন্যথায় নিষেধাজ্ঞা তোলার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।’’
ট্রাম্পকে নিরাপত্তা দিতে সেখানে গিয়েছে পেন্টাগনের বিশেষ বাহিনী। প্রস্তুতি নিচ্ছে পিয়ংইয়্যাংও। আর নিরাপত্তা জোরদার করতে সিঙ্গাপুরে খুকরিতে শান দিচ্ছে গোর্খা বাহিনী।
শাংগ্রি-লা হোটেলে সম্প্রতি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক করে গিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস-সহ এক ঝাঁক রাষ্ট্রনেতা ও শীর্ষ কর্তা। অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল আর খুকরি নিয়ে সে বারও পাহারার দায়িত্বে ছিল এই গোর্খা বাহিনী। অনেকে বলছেন, ট্রাম্প-কিমের বৈঠকের কথা মাথা রেখেই আসলে তৈরি করা হচ্ছিল নেপালের এই বিশেষ জনজাতির বাহিনীকে।
এ দিকে বৈঠক ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আমেরিকার যদিও দাবি, তারা চেষ্টায় ত্রুটি রাখছে না। সেই লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে চলেছেন মার্কিন কর্তারা। গত সপ্তাহেই কিমের চিঠি এসেছে ট্রাম্পের হাতে। সেই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব স্যান্ডার্স বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি ইতিবাচক।’’ অনেকেই বলছেন, এই বৈঠকে হয়তো দুই কোরিয়ার দ্বন্দ্বও মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy