নরেন্দ্র মোদী আর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স।
শত্রুর শত্রুও বন্ধু হয়ে ওঠতে পারে রাজনীতির ময়দানে।
সম্প্রতি কাতারকে একঘরে করার লক্ষে সৌদি আরবের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে ইজরায়েল। কাতারকে একঘরে করে কার্যত ইরানকেই যে কোণঠাসা করতে চাইছে সৌদি সেটা স্পষ্ট। আর এই কাতার-বিরোধিতাকে মূলধন করে সৌদি-সহ ছ’টি আরব দেশ এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংযোগ সেতুটি ক্ষীণভাবে হলেও তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
সূত্রের মতে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আরব দুনিয়া ও ইজরায়েলের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করে এগোতে চাইছে ভারত। পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে তিন বছর সময় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই তিন বছরে ইজরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা গড়ে তুললেও বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনেননি। ২০১৫ সালে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মোদীর ইজরায়েল সফরের কথা ঘোষণা করলেও, আগে সৌদি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আরবের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর হয়েছে। ভারতের প্রতি আরব বিশ্বের বাণিজ্যিক নির্ভরতা
বাড়িয়ে নিয়ে তার পর নিজের মেয়াদের চতুর্থ বছরে মোদী ইজরায়েলগামী বিমানে উঠেছেন। আর এই সময়ের মধ্যে ইজরায়েল সম্পর্কে আরবের মনোভাব সামান্য হলেও ইতিবাচক হয়েছে। সেটা মোদীকে বাড়তি সুবিধে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘অনেক আরব রাষ্ট্রই এখন ইজরায়েলের সঙ্গে তাদের সংযোগ বাড়াচ্ছে। আমরা যে ভাবে প্রকাশ্যে কৌশলগত সহযোগিতার পথে হাঁটছি, সে ভাবে না হলেও যোগাযোগ একটা তৈরি হচ্ছে।’’ অথচ ১৯৯২ সালে
যখন ভারত ইজরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেছিল তখন আরব দেশগুলি প্রকাশ্যেই তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারতের। ১৯৭৮ সালে মিশরের সঙ্গে ইজরায়েলের শান্তিচুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সম্পর্কের বিশেষ উন্নতি হয়নি। ২০১৫ সালে ফের মিশরে একটি ছোট দূতাবাস খোলে ইজরায়েল। পরের বছর মিশর ইজরায়েলের উপর থেকে জারি হওয়া কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। একই ভাবে ইজরায়েলের ঘোষিত শত্রু সৌদি আরব চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা অগ্রগতি ঘটিয়েছে ট্র্যাক টু-র মাধ্যমে। ইজরায়েলের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জিপি লেভনি-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদির প্রাক্তন নিরাপত্তা প্রধান। দু’মাস আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি নিবন্ধ। সেখানে বলা হয়, ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির জন্য নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা করছে সৌদি।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংকে চ্যালেঞ্জ দিল্লির
এর আগে বেশ কিছু দেশ সফরে (যে দেশগুলিকে মনমোহন সরকার কিছুটা অবজ্ঞাই করেছে) গিয়ে নরেন্দ্র মোদী তাঁর পূর্বসূরিকে খোঁচা মারতে ছাড়েননি। কানাডায় গিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন ৪২ বছরেও কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সেই দেশে দ্বিপাক্ষিক সফর করেননি। একই ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন পর্তুগাল অথবা অস্ট্রেলিয়া গিয়েও। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ইজরায়েলে কেন এর আগে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আসেননি, এই প্রশ্নটিকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জলঘোলা করতে চাননি মোদী।
ইজরায়েলে হিমাচলি টুপি: ইজরায়েলের হলোকাস্টে বাকি সকলে যখন মাথায় ইহুদি কিপ্পা পড়ে ছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর মাথায় ছিল হিমাচলি টুপি। যা নিয়ে কংগ্রেস কটাক্ষ করলেও হিমাচলে বিজেপি তাই নিয়ে মেলে ধরছে রাজ্যের গর্ব। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার ধুমল থেকে তাঁর ছেলে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ট্রাম্পকে কুল্লু শাল উপহার দিয়েছিলেন মোদী। আর ইজরায়েলে পরলেন রাজ্যের টুপি। রাজ্যের গর্ব বাড়ালে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy