সত্যিই কি তাই ঘটেছে! নাকি পুরোটাই কল্পনা? ছবি— সংগৃহীত।
জীবনের সব থেকে বড় ‘চমক’। যা প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি ডেনিস আন্ডারহিলের। যা দেখছেন, সত্যিই কি তাই ঘটেছে! নাকি পুরোটাই তাঁর কল্পনা? ১৮ মাস আগে মা’কে চিরতরে হারিয়েছিলেন। গুগলে বাড়ির ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে মায়ের ছবি উঠে এল চোখের সামনে।
কী দেখলেন ডেনিস?
দেখলেন, সামান্য ঝুঁকে ডান হাতে ধরা পাত্র দিয়ে গাছে জল দিচ্ছেন মা বেরিল টার্টন। কিন্তু, কী করে এটা সম্ভব হল? এটা সম্ভব হয়েছে গুগল আর্থের সৌজন্যে!
আসলে পুরোটাই পুরনো ছবি। এই ছবি তোলা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে, যখন ডেনিসরা থাকতেন আমেরিকায়। ফ্লোরিডার চাওটার রোডে ছিল তাঁদের বাড়ি। পাশেই ছিল সিলভার বার্চ গাছ। মায়ের মৃত্যুর পর সেই বাড়ি বেচে দিয়েছিলেন ডেনিস। সেটা ২০১৫ সাল। ডেনিস চলে আসেন ইংল্যান্ডে। স্ট্যাফোর্ডশায়ারে ট্যামওয়ার্থে থাকতে শুরু করেন। সম্প্রতি ডেনিসের ইচ্ছা হয়, মায়ের পুরনো বাড়ি দেখার। সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট খুলে বসে পড়েন তিনি। গুগল আর্থয়ের সাহায্য নেন। মুহূর্তে দেখতে পান বাড়ির পাশের ‘সেই’ গাছটাকে। চিনতে কোনও অসুবিধাও হয়নি।
আরও পড়ুন, লাইভ খবরের মাঝে সঞ্চালকের কাঁধে মাকড়সা! তারপর...
এর পরেই ছিল চমকের পালা। স্পষ্ট দেখার জন্য ছবি ‘জুম’ করেন ডেনিস। তখনই দেখতে পান, তাঁর মা গাছে জল দিচ্ছেন (ঠিক যেমন ভাবে বছর দু’য়েক আগে দেখেছিলেন মাকে)! প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি ডেনিস। তার পর ধীরে ধীরে ধাতস্থ হন। ডেনিসের কথায়: ‘‘জীবনের সব থেকে বড় চমকটা পেলাম। গাছে মায়ের জল দেওয়ার ছবি! অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’’ ছবিটা কবে তোলা হয়েছে, তা ডেনিস জানেন না। তবে, এই ‘চমক’ পেয়ে খুশি তিনি।
আসলে, গুগল আর্থের সৌজন্যে যে কোনও প্রান্তের যে কোনও ছবিই দেখা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু দু’বছর নয়, এমন অনেক ছবি পাওয়া যেতে পারে, যা দশ বছর পুরনো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy