জেলায় শুরু হয়েছে বুলবুলে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ।
বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের স্থলভাগের দিকে ক্রমশ ছুটে আসছে বুলবুল। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০নম্বর আর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদসংকেত জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সন্ধ্যায় খুলনা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানার সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী আট জেলা– সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালি, ভোলা এবং চাঁদপুরের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া দু’হাজার পর্যটক শেষ পর্যন্ত নিরাপদে টেকনাফে ফিরেছেন। বুলবুলের প্রাথমিক আঘাতের ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে একদিন আটকে ছিলেন তারা। বুলবুলের আঘাতের আশঙ্কায় আজ বিকেল ৪টে থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও বরিশালের পথে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের বিমান কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় তৈরি নৌবাহিনী, বিশাখাপত্তনমে দাঁড়িয়ে ৩ জাহাজ, প্রস্তুত কপ্টারও
ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা করে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সার্বিক প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্তা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে এবং জনগণের সুরক্ষা দিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সরকার ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই ত্রাণের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ আরিফ হোসেন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা নাগাদ যখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলে আঘাত হানবে, সেই সময়টায় এই অঞ্চলের নদী এবং সমুদ্রে জোয়ার থাকবে। এই কারণে জলচ্ছ্বাস বেশি হবে। তার ভাষ্য, উপকূলের আটটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে হয়ে যাবে। তার প্রভাবে রবিবার ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাঁক নিয়েছে অতি ভয়ঙ্কর বুলবুল, গতিবেগ ১২০ কিমি, রাতে বড় ছোবল সুন্দরবনে?
আজ শনিবার সকালে আবহাওয়া দফতর ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত জারির পরে মংলা বন্দরে থাকা জাহাজ ও জেটিতে পণ্য তোলা-সহ সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এই বন্দরটি তার নিজস্ব অ্যালার্ট ৪ জারি করেছে। উত্তাল নদীপথের আশঙ্কায় ঢাকার নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শুক্রবার থেকে সব ধরনের যাত্রিবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় বাংলাদেশের ১৫ জেলায় এক হাজার ৫৭৭ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর। এসব এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় যোগাযোগের জন্য একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম খুলেছে বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে ফোনে ও অনান্য আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চলছে তথ্য আদানপ্রদান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy