বাড়ি ফিরেও সন্তানের থেকে দূরে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
করোনারভাইরাসের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব আজ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত। আর সেই লড়াইয়ের সৈনিকরা সাধারণ মানুষের থেকেও সঙ্কটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কখনও তাঁদের বাড়িওয়ালা ঘর থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলছেন। কখনও আবার বাড়িই ফিরতেই পারছেন না দিনের পর দিন। কেউ আবার বাড়ি ফিরলেও সন্তান, পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারছেন না, তাঁদের সুরক্ষার জন্যই। এই পরিস্থিতি যে কতটা বেদনাদায়ক, এই ভিডিয়ো দেখিয়ে দিল।
শিভন নামে এক টুইটার ইউজার ২৭ মার্চ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এক সৌদি চিকিৎসক বাড়ি ফিরে তাঁর সন্তানকে থামাচ্ছেন যাতে সে আলিঙ্গন না করে ফেলে। সেই সঙ্গে ছেলেকে বলছেন, দূরে থাকতে। তার পরই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি’।
ভিডিয়োতেও দেখা যাচ্ছে, ওই চিকিৎসক হাসপাতালের ইউনিফর্মেই বাড়িতে এসেছেন। গলার কাছে নামানো সার্জিক্যাল মাস্কটি। আর বাবাকে দেখতে পেয়েই দুই হাত তুলে ছেলে তাঁকে জড়িয়ে ধরতে ছুটে যাচ্ছে।
এটা হয়তো ছেলেটির প্রতিদিনের অভ্যাস। বাবা বাড়ি ফিরলেই জড়িয়ে ধরা, ঝাঁপিয়ে কোলে উঠে পড়া। বাবা-ছেলে দুজনেই অভ্যস্ত প্রতিদিনের এই ভালবাসায়। কিন্তু আজ তিনি সামনে দাঁড়িয়ে করোনাভারাসের সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁর বিপদ যেমন রয়েছে, তাঁর থেকে যাতে সন্তানের কাছে তা কোনও ভাবেই না ছড়িয়ে পড়ে সেই বিপদ, সে ব্যাপারেও তাঁকে সচেতন থাকতে হচ্ছে।
আরও পডু়ন: করোনাভাইরাস হেলমেট পরে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই পুলিশ কর্মী
দিনের পর দিন এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে যে কোনও মানুষই ভেঙে পড়বেন। এই চিকিৎসককেও দেখা গেল, ছেলেকে দূরে থামতে বলে নিজেও বসে পড়ে মুখ ঢাকছেন হাত দিয়ে। কান্না লুকনোর চেষ্টা করছেন।
আরও পডু়ন: শেষ কেমোর পর ফিরে এলেন কিশোরী, সামাজিক দূরত্ব রেখেই বন্ধুদের উষ্ণ অভ্যর্থনা
ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার পরই ভাইরাল হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত সেটি এক লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর নেটাগরিক পোস্টটি শেয়ার করেছেন, নিজেদের সমবেদনা জানিয়েছেন।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy