প্রতীকী ছবি।
নয়-দশ মাস হয়ে গিয়েছে, বাজারে কোভিড টিকা এসেছে। সর্বপ্রথম ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রিটেন। তার পর একে একে ইজ়রায়েল, আমেরিকা, ইউরোপের অন্য দেশ। ব্যাপক গতিতে চলতে থাকে টিকা দেওয়া। টিকার সমবণ্টন না-হওয়ার অভিযোগ থাকলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশ ভেবেছিলেন, অন্তত পশ্চিমের ধনী দেশগুলো কোভিডমুক্ত হবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি! ইউরোপ-আমেরিকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রাণ থাকতে তাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন না। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমার শরীর, তাতে আমার অধিকার!’’
অতএব অনেকটা এগিয়েও কোভিডের টিকাকরণ বিশ বাঁও জলে। ইজ়রায়েল কিংবা ব্রিটেন ভেবেছিল, দেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বাসিন্দার টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে ফেলবে। কিন্তু বাস্তবে সেই লক্ষ্য ছোঁয়া বহু দূর। ব্রিটেনে ৬৩ শতাংশ বাসিন্দার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। ইজ়রায়েলে ৬২ শতাংশ। আমেরিকায় ৫২ শতাংশ। টিকার কিন্তু আকাল নেই। বরং টিকার ভাণ্ডার পরিপূর্ণ। এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ, অল্পবয়সিদের মধ্যে টিকা নেওয়ায় অনীহা, অনেকাংশে আপত্তিও।
কিছু বাসিন্দার বক্তব্য, তাঁরা অল্পবয়সি এবং যথেষ্ট সুস্থ। অতএব তাঁদের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই। একাংশ ডিজিটাল মাধ্যম সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নয়। ভ্যাকসিনের জন্য ডিজিটাল বুকিং করতে হচ্ছে। তাঁরা এই কাজ কী করে করতে হয় জানেন না। টিকা নেওয়ার ব্যাপারেও আগ্রহী নয়। আর কিছু লোকজন স্রেফ সরকারকে বিশ্বাস করেন না। টিকা নিয়ে তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ ভাবে চললে কোনও দেশই ৮০-৯০ শতাংশ বাসিন্দার টিকাকরণ করাতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে ইটালি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy