মৃতের সংখ্যা নিয়ে চিনের পাশে দাঁড়াল হু। ছবি: এএফপি
উহানে মৃতের সংখ্যা গণনায় ভুল হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছিল চিনের উহান প্রশাসন। এ বার তা নিয়ে বেজিংয়ের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাদের দাবি, অতিমারির এই সময়ে মৃতের সংখ্যা ঠিকঠাক গোনাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। হু-এর আশঙ্কা, অনেক দেশই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে হু-এর টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কার্কহোভ বলেন, ‘‘অতিমারি পরিস্থিতিতে কোনও দেশের সমস্ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সঠিক ভাবে গোনাটাই আপনার কাছে চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়, বহু দেশই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। যেখানে আবার তাদের পুরনো রেকর্ড ঘাঁটতে হবে এবং প্রশ্ন জাগাবে, আমরা কি সব নাম নথিবদ্ধ করলাম?’’ চিনকে সমর্থন করেই কার্কহোভের দাবি, কোনও ফারাক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই উহান প্রশাসন তাদের নথিপত্রের পুনর্মূল্যায়ন করেছে।
শুক্রবারই উহান প্রশাসন জানায় যে, মৃতের সংখ্যা গণনায় তাদের ভুল হয়েছে। সরকারি ভাবে যত জনের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছিল, আদতে সে সংখ্যাটা তার চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। উহানে করোনা সংক্রমণে আরও ১ হাজার ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ জন। উহানে মৃত্যু বাড়ার জন্য গোটা চিনেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জন।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে কোন ক্ষেত্রে কতটা ছাড়? সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে মন্ত্রিগোষ্ঠী
শুক্রবার চিনের ওই খবর প্রকাশ্যে আসার পর পরেই, এই অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেও দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণ নিয়ে বেজিংয়ের দিকে আগেই আঙুল তুলেছে আমেরিকা। সেইসঙ্গে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠছিল। সব মিলিয়ে বেজিংয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্কটা জিইয়ে ছিল। এই আবহেই শুক্রবার উহান প্রশাসনের দাবি সেই বিতর্কের আগুনে যেন ঘি ঢেলে দেয়।
আরও পড়ুন: করোনার হানা এ বার নৌবাহিনীতেও, কোয়রান্টিনে নৌঘাঁটির একাংশ
যদিও কার্কহোভ যুক্তি দিয়েছেন, উহানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেসে গিয়েছিল। কিছু রোগীর বাড়িতেও মৃত্যু হয়েছিল। বাকিদের অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের চিকিৎসায় যে সব ডাক্তাররা নিযুক্ত ছিলেন তাঁরা তাড়াহুড়োয় ওই সব রোগীদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি। সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে সব দেশকেই সতর্ক করে দিয়েছেন হু-এর আর এক কর্তা মাইকেল রায়ান। তিনি বলেন, ‘‘সব দেশেই এমন পরিস্থিতি আসতে পারে। কিন্তু এর প্রভাব কতটা পড়ছে, এটাতেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এই পদক্ষেপই আমাদের করোনা নিয়ে আরও নির্ভুল ভাবে এগতে সাহায্য করবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy