Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Racial Discrimination

বর্ণবিদ্বেষে অভিযুক্ত এ বার রাজা এবং কেট

কয়েক দিন আগে ডাচ ভাষায় অনুদিত ‘এন্ডগেম’ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই হইচই পড়ে যায়। রাজা এবং রাজবধূর নাম করে বর্ণবিদ্বেষমূলক এই অভিযোগ ওঠায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।

An image of Prince Harry

ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারি। —ফাইল চিত্র।

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩২
Share: Save:

রাজবাড়ির দায়িত্ব থেকে তাঁরা অব্যাহতি নিলেও বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানের।

হ্যারি-মেগানের প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের আগে সন্তানের গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে সে নিয়ে নাকি সমালোচনা করেছিলেন স্বয়ং রাজা তৃতীয় চার্লস এবং হ্যারির বৌদি ক্যাথরিন (কেট)। রাজবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরে হ্যারি-মেগানকে নিয়ে ওমিড স্কুবির লেখা ‘এন্ডগেম’ বইটির ডাচ অনুবাদে সে কথা স্পষ্ট লেখা রয়েছে। সেই বিস্ফোরক দাবি ঘিরেই দানা বেধেছে নতুন বিতর্ক।

২০২১ সালে ওপরা উইনফ্রের শো-তে রাজবাড়িতে তাঁরা বর্ণবিদ্বেষের শিকার বলে দাবি করলেও কারও নাম করেননি হ্যারিরা। ইংরেজিতে লেখা মূল বইয়ে কারও নাম লেখেননি স্কুবিও। তবে স্কুবি জানিয়েছিলেন, রাজবাড়ির ওই দুই ঘনিষ্ঠ সদস্যের নাম তিনি জানেন। আইনি ঝামেলা এড়াতেই সেই নাম প্রকাশ্যে আনছেন না।

কয়েক দিন আগে ডাচ ভাষায় অনুদিত ‘এন্ডগেম’ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই হইচই পড়ে যায়। রাজা এবং রাজবধূর নাম করে বর্ণবিদ্বেষমূলক এই অভিযোগ ওঠায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও প্রকাশকের তরফে ভুল স্বীকার করে সঙ্গে সঙ্গে বাজার থেকে সমস্ত বই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক স্কুবিও। তিনি নিজে বইটির লেখক এবং অনুবাদ বইটির সম্পাদক। স্কুবির দাবি, সেখানে এমন কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও ছাপার বইয়ে কী ভাবে ওই নাম দু’টি প্রকাশ পেল? গতকাল সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কুবি বলেছেন, ‘‘এটি একটি ভুল। বিষয়টি নিয়ে পূর্ণ তদন্ত করা হবে।’’ অনেকে অবশ্য বলছেন, এ সব বিপণন কৌশলমাত্র। বই বিক্রি বাড়াতে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই প্রশ্নে বেজায় চটেছেন স্কুবি। তিনি জানিয়েছেন, এমনটা একেবারেই নয়। হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে এবং আইনি কারণেই তিনি কারও নাম রাখেননি বইয়ে। প্রকাশক সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘ডাচ অনুবাদে একটি ভুল ছাপা হয়েছে। তা সংশোধনের কাজ চলছে।’’

বিষয়টা এমন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে যখন দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজা চার্লস। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বাকিংহাম প্রাসাদ। রাজবাড়ির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মেগান যদি এই দু’জনের নাম নিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কী কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখা হচ্ছে। হ্যারি-মেগানের তরফে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Racial Discrimination Prince Harry UK child Controversy British Royal Family
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy