‘উপপত্নী’ রেখেছেন স্বামী। সন্দেহ করে স্বামীকে হাতেনাতে ধরতে সেই তরুণীর শোয়ার ঘরে ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন স্ত্রী। সত্যি হয়েছিল তাঁর সন্দেহ। স্বামী এবং তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো হাতে আসে তাঁর। উভয়কে উপযুক্ত ‘শিক্ষা’ দিতে সেই সব ভিডিয়ো বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে আপলোডও করেন স্ত্রী। তবে লাভ হয়নি। আদালতের হস্তক্ষেপে স্বামী এবং ওই তরুণীর সব ভিডিয়ো সরিয়ে নিতে হল তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে চিনে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঘটনার সূত্রপাত বছর তিনেক আগে। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের গুয়াংজি ঝুয়াং অঞ্চলের বাসিন্দা লি নামে এক যুবতী সন্দেহ করেন যে, তাঁর স্বামী হু মেলামেশা করছেন ওয়াং নামের এক তরুণীর সঙ্গে। লি সন্দেহ করেন, ওয়াংকে উপপত্নী রেখেছেন হু। এর পরেই খোঁজখবর লাগিয়ে ওয়াঙের ঠিকানা জোগাড় করেন লি। কৌশলে ওয়াঙের শোয়ার ঘরে গোপন ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করেন। সেই ক্যামেরার ফুটেজে হু এবং ওয়াংকে অন্তরঙ্গ হতে দেখেন তিনি। প্রতিশোধ নিতে ভিডিয়োগুলি বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে আপলোড করে দেন।
২০২৩ সালের অগস্টে ওয়াং তাঁর ফ্ল্যাটে ওই লুকোনো ক্যামেরার হদিস পান। ভিডিয়োগুলি অনলাইনে দেখতে পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলার শেষে টেং কাউন্টি আদালত লিকে ওই ভিডিয়োগুলি মুছে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। যদিও ওয়াংয়ের আবেদন অনুয়ায়ী লিকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি আদালত। সংবাদমাধ্যম ‘গুয়াংজি লিগ্যাল ডেলি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের রায় মেনে না নিয়ে ওয়াং উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই আদালতও পুরনো রায় বহাল রেখেছে বলে খবর।