জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার। ছবি: সংগৃহীত।
অবেশেষে নিজেদের নতুন স্টেল্থ ফাইটার জেটকে প্রকাশ্যে আনল চিন। মঙ্গলবার সে দেশের বৃহত্তম এয়ার শোয়ে এই ফাইটার জেটকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। কিন্তু জে-২০ নামের এই স্টেল্থ ফাইটার যে পরিমাণ গর্জন করে আকাশে উড়েছে, তাতে আশপাশের পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলির অ্যালার্ম বেজে উঠেছে বলে খবর।
চিনের চেংদু অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন অনেক দিন আগেই স্টেল্থ ফাইটার তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। রাডারকে সম্পূর্ণ ফাঁকি দিয়ে প্রতিপক্ষের আকাশসীমায় হানা দিতে অত্যন্ত দক্ষ যে মার্কিন স্টেল্থ ফাইটারগুলি, সেগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতেই চিন নিজেদের দেশে স্টেল্থ ফাইটার তৈরি শুরু করেছিল বলে বিশেষজ্ঞদের মত। কিন্তু এই প্রকল্পের কথা বেজিং প্রথম দিকে কাউকেই জানতে দেয়নি। ২০১০ সালে চিনের তৈরি জে-২০ স্টেল্থ ফাইটারের ছবি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। চিনা কর্তৃপক্ষ তখনও জে-২০ ফাইটার জেট সম্পর্কে কিছুই জানাতে রাজি হয়নি। কারণ বিমানটির সক্ষমতা তখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরেই ছিল। এত দিনে সেই স্তর অতিক্রান্ত বলে চেংদু অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন মনে করছে। তাই চিনের দ্বির্বাষিক এয়ার শোয়ে সরকারি ভাবে স্টেল্থ ফাইটারটিকে প্রকাশ্যে আনা হল।
দক্ষিণ চিনের ঝুহাই শহরে এ বারের চায়না এয়ার শো আয়োজিত হয়েছে। মঙ্গলবার সেই এয়ার শোয়ে দু’টি জে-২০ ফাইটার দর্শকদের সামনে কসরৎ দেখিয়েছে। ৬০ সেকেন্ড কসরৎ দেখিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলি। কিন্তু তীব্র আওয়াজ করে জে-২০ আকাশে উড়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিনা স্টেল্থ ফাইটার দু’টির গর্জন এত তীব্র ছিল যে, এয়ার শোয়ের পার্কিং লটে রাখা গাড়িরগুলির অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যালার্মগুলি এক সঙ্গে বেজে ওঠে।
চিনা বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই স্টেল্থ ফাইটারের সুবাদে চিনা বিমান বাহিনী এখন মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে টক্কর নিতে প্রস্তুত। কিন্তু মার্কিন স্টেল্থ ফাইটার এফ-২২ র্যাপটরের সঙ্গে এই জে-২০ আদৌ তুলনীয় কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাপ রেখেই চিনের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করার চেষ্টা
স্টেল্থ ফাইটার গোত্রের যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয় প্রতিপক্ষের আকাশসীমায় গোপনে হানা দেওয়ার জন্য। অর্থাৎ, এই সব যুদ্ধবিমানে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি, যাতে তার হানাদারির খবর প্রতিপক্ষ কিছুতেই বুঝতে না পারে। কিন্তু জে-২০ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাডারকে ফাঁকি দিতে কতটা সক্ষম, তা এখনও প্রমাণিত নয়। তা ছাড়া, আকাশে ওড়ার সময়ে চিনের এই স্টেল্থ ফাইটার যে রকম গর্জন করছে, তাতে হানাদারির সময় নিজের অস্তিত্ব সে কতটা লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy