চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন। —ফাইল চিত্র।
চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, প্রয়োজনে চিনা সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির চেষ্টাকে ‘বলপূর্বক’ থামাতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে আদানপ্রদান বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। শুক্রবার সিঙ্গাপুরে একটি বার্ষিক ফোরাম ‘শাংগ্রি-লা ডায়ালগে’ দেড় বছর পর চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিবের মধ্যে মুখোমুখি কথা হয়।
সিঙ্গাপুরের হোটেলে ডং এবং লয়েড অস্টিনের মধ্যে শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা হয়। তার পরে ডং বলেন, ‘‘আমরা আদানপ্রদান এবং সহযোগিতার জন্য খোলা মনে প্রস্তুত রয়েছি। তবে এর জন্য উভয় পক্ষকেই একে অপরের জন্য মাঝরাস্তা অবধি এগিয়ে আসতে হবে। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে অমিল রয়েছে বলেই আরও বেশি করে কথা বলা দরকার।’’ অস্টিনও ইঙ্গিত দেন যে, দু’দেশের সেনাকর্তাদের মধ্যে টেলিফোনে কথাবার্তা কয়েক মাসের মধ্যে ফের শুরু হতে পারে। ২০২২ সালে আমেরিকান হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই তা বন্ধ রয়েছে। তবে গত মাসে আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেজিং এবং শাংহাই সফর সেরে এসেছেন। বেজিংয়ের তরফেও শুক্রবারের আলাপ-আলোচনাকে ‘স্থিতিকারক’ বলেই বর্ণনা করা হয়েছে।
কিন্তু এরই পাশাপাশি তাইওয়ান প্রশ্নে চিন একই রকম অনমনীয়তা দেখিয়ে চলেছে, যে তাইওয়ানের পিছনে আমেরিকার সমর্থনের হাত রয়েছে। তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন লাই শিং-তে। তাঁকে বেজিং বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে। সপ্তাহখানেক আগেই স্বশাসিত তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক টহলদারি চালিয়েছে চিন। রবিবার ডং স্পষ্ট গলায় বলেন, ‘‘চিনা সেনাবাহিনী তার মাতৃভূমির ঐক্য রক্ষার্থে সর্বদা দায়বদ্ধ। তারা অপ্রতিরোধ্য। তাইওয়ানকে স্বাধীন করার চেষ্টা কখনওই সফল কবে না। চিনা বাহিনী তা সর্বশক্তি দিয়ে রুখবে, সব রকম বল প্রয়োগ করবে।’’ হুঁশিয়ারি আরও তীব্র করে তিনি এও বলেন, ‘‘যারাই তাইওয়ানকে চিন থেকে আলাদা করতে চাইবে, তারা টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনবে।’’ একই সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে ফিলিপিন্সের সঙ্গে চিনের সংঘাত রয়েছে। ডং বলেন, ‘‘চিনের সংযমেরও সীমা আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy