তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার নৌবাহিনীর ফ্রিগেট ইউএস চুং হুন। ছবি: রয়টার্স।
চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে আবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে পড়ল আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ। শুক্রবার আমেরিকার নৌবাহিনীর ফ্রিগেট ইউএস চুং হুন ওই স্পর্শকাতর এলাকায় ঢোকার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ নতুন করে অশান্তিতে প্ররোচনা দেবে।
গত অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত দু’টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। উত্তেজনার আবহে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিলের সেই উপস্থিতি নিয়েও সে সময় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং।
পরবর্তী সময়ে তাইওয়ান প্রণালীর অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও মোতায়েন করেছিল পেন্টাগন। এ বার তাইওয়ান প্রণালীতে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বার্ক শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ফ্রিগেট ইউএস চুং হুনের উপস্থিতি নতুন অশান্তির অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ওয়াশিংটনের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, ‘‘চিন দৃঢ় ভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে এবং আমেরিকাকে অবিলম্বে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা এবং তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় আঘাত হানা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy