ছবি: সংগৃহীত।
একা আমেরিকায় রক্ষে নেই অস্ট্রেলিয়া দোসর। তার জেরে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ‘স্ট্র্যাটেজিক স্পেস ট্র্যাকিং স্টেশন’ হাতছাড়া হতে চলেছে চিনের। চুক্তির সময়সীমা শেষ হলে ওই নজরদারি কেন্দ্রের দখল ছাড়তে হবে চিনকে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ওই কেন্দ্রটি ‘দ্য সুইডিশ স্পেস কর্পোরেশন (এসএসসি)’-এর নিয়ন্ত্রণাধীন। অর্থের বিনিময়ে এই স্টেশন থেকে উপগ্রহের উপরে নজর রাখা হয়। ২০১১ সাল থেকে ওই কেন্দ্রের ‘স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা’ ব্যবহার করছে চিন। তবে এ বার সুইডেনের ওই সংস্থাটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চিনা সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হবে না। তবে চুক্তির সময়সীমা নিয়ে কিছু জানায়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের মদতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসসি।
তবে এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কুলুপ এঁটেছে চিনা বিদেশ মন্ত্রকও। আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অস্ট্রেলিয়া। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও দু’দেশ একত্রে কাজ করছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসনের মুখে নিজেদের আধিপত্য কায়েম রাখতে ভারত ও জাপানকে নিয়ে এই দুই দেশ চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডও তৈরি করেছে।
অন্য দিকে, আমেরিকার সঙ্গে উত্তেজনার আবহে একটি মহড়ার ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে চিন। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে চিনা বায়ুসেনার এইচ-৬ বিমান। ভিডিয়ো দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গুয়ামে আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলার মহড়ার কথাই বোঝাতে চেয়েছে চিন। শনিবার এই ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয় চিনা বায়ুসেনার ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, চিনা এইচ-৬ যুদ্ধবিমান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি রানওয়েতে। রানওয়েটি হুবহু গুয়ামের অ্যান্ডারসন নৌঘাঁটির মতো। ক্যাপশনে লেখা, ‘‘আমরা মাতৃভূমির আকাশসীমার নিরাপত্তা রক্ষায় সক্ষম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy