Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কানাডা থেকে তাজা হাওয়া কিনছে বেজিং, এর পর কিনবে দিল্লিও

কানাডার কাছ থেকে ‘তাজা হাওয়া’ কিনছে চিন! সেই ‘তাজা হাওয়া’ এ বার কড়া নাড়ছে দিল্লির ঘর-গেরস্থালিতেও। হিন্দি-চিনি ভাই-ভাই!

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৯:৩৪
Share: Save:

কানাডার কাছ থেকে ‘তাজা হাওয়া’ কিনছে চিন! সেই ‘তাজা হাওয়া’ এ বার কড়া নাড়ছে দিল্লির ঘর-গেরস্থালিতেও। হিন্দি-চিনি ভাই-ভাই!

মানুষ আরও ভাল ভাবে, আরও সুস্থ-সবল ভাবে বেঁচে থাকতে চান বলে।

কানাডার যে সংস্থা ওই ‘তাজা হাওয়া’ বানায়, সেই ‘ভাইট্যালিটি এয়ার’ বেজিঙে প্রাথমিক ভাবে পাঠিয়েছিল পাঁচশোটি ক্যান। তা নিমেষেই উড়ে গিয়েছে। পাঁচশো ক্যান ‘তাজা হাওয়া’ বেজিঙে শেষ হয়ে গিয়েছে মাত্র চার দিনে।

বেজিঙ থেকে অর্ডার এসেছে ‘আরও পাঠাও’। পাঠানো হচ্ছে। এক সঙ্গে চার হাজার ক্যান। আগামী এক মাসের মধ্যে হয়তো চিনে পাঠানো হবে আরও হাজার পাঁচেক ক্যান।

‘তাজা হাওয়া’কে ক্যান-বন্দি করা হল কী ভাবে?

‘তাজা হাওয়া’র আদত ঠিকানা- কানাডার উত্তর প্রান্তের পার্বত্য এলাকা। অত্যন্ত দুর্গম বলে যে জায়গাটা জনমনিস্যিহীন। তাই সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস প্রায় নেই বললেই হয়। বাতাস সেখানে আদ্যোপান্তই ‘তাজা হাওয়া’। সেই বাতাসই সংগ্রহ করে তাকে প্রচণ্ড চাপে ক্যান-বন্দি করে সেই ক্যান ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। দাম কম নয়। যে হেতু উৎপাদন খরচও যথেষ্টই। এত দিন কানাডা ও আমেরিকায় প্রায় ঘরে ঘরেই পৌঁছচ্ছিল ক্যান-বন্দি ওই ‘তাজা হাওয়া’। এ বার জাহাজে চাপিয়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতেও তা পাঠাতে শুরু করেছে কানাডার প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।

অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে ক্যানগুলো বানানো হয় বলে সেখানে কার্বন, ফ্লুরো-কার্বন জনিত দূষণের সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। এটা কোনও স্প্রে-ও নয়। বরং অনেকটা ‘ইন-হেলারে’র মতো। চিনে তা খুব একটা কম দামে বিকোচ্ছে না। একটা ক্যানের দাম একশো ইউয়ান বা এক হাজার মার্কিন ডলার।

দিল্লিতেও হইহই করে তা ঢুকে পড়ল বলে।

অন্য বিষয়গুলি:

china india delhi fresh air
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE