Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
the titanic

আকণ্ঠ মদ খেয়ে হিমশীতল অতলান্তিকে তিন ঘণ্টা! টাইটানিকের শেষ যাত্রী হিসাবে বেঁচে ফেরেন ইনি

টাইটানিক যত তলিয়ে গিয়েছে, তত তার যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা কিন্তু জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অস্বাভাবিক শান্ত ছিলেন চার্লস। তাঁর সঙ্গী ছিলেন ব্র্যান্ডি। জাহাজের ডেকে যেমন অবিচল ভাবে ভায়োলিন বাজাচ্ছিলেন বাজনদারেরা, শেফ-বেকার চার্লসও নিজেকে শান্ত রেখেছিলেন। নিজের লাইফজ্যাকেটও দিয়ে দিয়েছিলেন অন্য যাত্রীকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১০:৩২
Share: Save:
০১ ১৫
ডুবন্ত টাইটানিক থেকে অতলান্তিকের হিমশীতল জল। হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রার সেই মহাসাগরেও তিনি যুঝেছিলেন তিন ঘণ্টা। তারপর খড়কুটোর মতো খুঁজে পেয়েছিলেন লাইফবোট। টাইটানিক জাহাজে বেকিংয়ের মূল দায়িত্বে থাকা চার্লস জোঘিনের জীবন হার মানাবে ছবির রোমহর্ষক চিত্রনাট্যকেও। ঐতিহাসিক ওই জাহাজডুবির ঘটনায় যে কয়েক জন মানুষ প্রাণে বেঁচেছিলেন, তিনি তাঁদের মধ্যে এক জন। অনেকের মতে, তিনি-ই শেষ ব্যক্তি, যিনি টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন নিকষ মহাসাগরে।

ডুবন্ত টাইটানিক থেকে অতলান্তিকের হিমশীতল জল। হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রার সেই মহাসাগরেও তিনি যুঝেছিলেন তিন ঘণ্টা। তারপর খড়কুটোর মতো খুঁজে পেয়েছিলেন লাইফবোট। টাইটানিক জাহাজে বেকিংয়ের মূল দায়িত্বে থাকা চার্লস জোঘিনের জীবন হার মানাবে ছবির রোমহর্ষক চিত্রনাট্যকেও। ঐতিহাসিক ওই জাহাজডুবির ঘটনায় যে কয়েক জন মানুষ প্রাণে বেঁচেছিলেন, তিনি তাঁদের মধ্যে এক জন। অনেকের মতে, তিনি-ই শেষ ব্যক্তি, যিনি টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন নিকষ মহাসাগরে।

০২ ১৫
চার্লসের জন্ম ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ অগস্ট, ইংল্যান্ডের বার্কেনহেডে। মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রথম সমুদ্রপাড়ি। পরবর্তীকালেও রন্ধনশিল্পী হিসেবে নামী জাহাজে কাজ পেতে তাঁর অসুবিধে হয়নি। টাইটানিকের আগেও ‘হোয়াইট স্টারলাইন’ এবং ‘অলিম্পিক’ নামের দু’টি বড় জাহাজে কাজ করেছেন তিনি।

চার্লসের জন্ম ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ অগস্ট, ইংল্যান্ডের বার্কেনহেডে। মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রথম সমুদ্রপাড়ি। পরবর্তীকালেও রন্ধনশিল্পী হিসেবে নামী জাহাজে কাজ পেতে তাঁর অসুবিধে হয়নি। টাইটানিকের আগেও ‘হোয়াইট স্টারলাইন’ এবং ‘অলিম্পিক’ নামের দু’টি বড় জাহাজে কাজ করেছেন তিনি।

০৩ ১৫
ইংল্যান্ডের সাদাম্পটন থেকে আমেরিকার নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল গভীর রাত থেকে ডুবতে শুরু করেছিল সময়ের তুলনায় অত্যাধুনিক টাইটানিক। হিমশৈলে ধাক্কা লেগে একটু একটু করে তলিয়ে যায় জাহাজটি। মানুষের জলযানের ইতিহাসে টাইটানিকের নাম মাইলফলক হয়ে আছে। বিলাসিতা এবং অত্যাধুনিকতার চরম নিদর্শন ছিল এই জাহাজ। সেখানেই বিশাল রান্নাঘরের একটা বড় অংশের দায়িত্বে ছিলেন চার্লস। তিনি মূলত বেকিংয়ের দিকটি দেখতেন। তাঁর অধীনে কাজ করতেন অন্তত ১৩ জন।

ইংল্যান্ডের সাদাম্পটন থেকে আমেরিকার নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল গভীর রাত থেকে ডুবতে শুরু করেছিল সময়ের তুলনায় অত্যাধুনিক টাইটানিক। হিমশৈলে ধাক্কা লেগে একটু একটু করে তলিয়ে যায় জাহাজটি। মানুষের জলযানের ইতিহাসে টাইটানিকের নাম মাইলফলক হয়ে আছে। বিলাসিতা এবং অত্যাধুনিকতার চরম নিদর্শন ছিল এই জাহাজ। সেখানেই বিশাল রান্নাঘরের একটা বড় অংশের দায়িত্বে ছিলেন চার্লস। তিনি মূলত বেকিংয়ের দিকটি দেখতেন। তাঁর অধীনে কাজ করতেন অন্তত ১৩ জন।

০৪ ১৫
টাইটানিকের গায়ে যখন হিমশৈলের আঘাত প্রথম লাগে, তখন নেশার ঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন চার্লস। ধাক্কার চোটে জাহাজ কেঁপে উঠতেই ঘুম ভেঙে যায় চার্লসের। আসন্ন বিপদ আন্দাজ করেই তাঁর অধস্তন কর্মীদের খাবার মজুত করতে নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর কথায় কর্মীরা জাহাজের ডেকে নিয়ে আসেন পাঁউরুটির পাঁচটি লোফ। যাতে সেগুলি দিয়ে দেওয়া যায় লাইফবোটে।

টাইটানিকের গায়ে যখন হিমশৈলের আঘাত প্রথম লাগে, তখন নেশার ঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন চার্লস। ধাক্কার চোটে জাহাজ কেঁপে উঠতেই ঘুম ভেঙে যায় চার্লসের। আসন্ন বিপদ আন্দাজ করেই তাঁর অধস্তন কর্মীদের খাবার মজুত করতে নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর কথায় কর্মীরা জাহাজের ডেকে নিয়ে আসেন পাঁউরুটির পাঁচটি লোফ। যাতে সেগুলি দিয়ে দেওয়া যায় লাইফবোটে।

০৫ ১৫
টাইটানিক যত তলিয়ে গিয়েছে, তত তার যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা কিন্তু জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অস্বাভাবিক শান্ত ছিলেন চার্লস। তাঁর সঙ্গী ছিলেন ব্র্যান্ডি। জাহাজের ডেকে যেমন অবিচল ভাবে বেহালা বাজাচ্ছিলেন বাজনদারেরা, শেফ-বেকার চার্লসও নিজেকে শান্ত রেখেছিলেন। নিজের লাইফজ্যাকেটও দিয়ে দিয়েছিলেন অন্য যাত্রীকে।

টাইটানিক যত তলিয়ে গিয়েছে, তত তার যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা কিন্তু জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও অস্বাভাবিক শান্ত ছিলেন চার্লস। তাঁর সঙ্গী ছিলেন ব্র্যান্ডি। জাহাজের ডেকে যেমন অবিচল ভাবে বেহালা বাজাচ্ছিলেন বাজনদারেরা, শেফ-বেকার চার্লসও নিজেকে শান্ত রেখেছিলেন। নিজের লাইফজ্যাকেটও দিয়ে দিয়েছিলেন অন্য যাত্রীকে।

০৬ ১৫
টাইটানিক-এর সব যাত্রী লাইফজ্যাকেট পাননি। সবার জায়গাও হয়নি লাইফবোটে। ধনী যাত্রীদের জন্যই বরাদ্দ ছিল নতুন জীবন পাওয়ার সুযোগ। বহু যাত্রীর সলিলসমাধি হয়েছিল জাহাজের সঙ্গেই। রীতি মেনে, জাহাজ ছেড়ে যাননি ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথ-ও। তিনিও টাইটানিক-এর সঙ্গেই গিয়েছিলেন অতলান্তিক মহাসাগরে।

টাইটানিক-এর সব যাত্রী লাইফজ্যাকেট পাননি। সবার জায়গাও হয়নি লাইফবোটে। ধনী যাত্রীদের জন্যই বরাদ্দ ছিল নতুন জীবন পাওয়ার সুযোগ। বহু যাত্রীর সলিলসমাধি হয়েছিল জাহাজের সঙ্গেই। রীতি মেনে, জাহাজ ছেড়ে যাননি ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথ-ও। তিনিও টাইটানিক-এর সঙ্গেই গিয়েছিলেন অতলান্তিক মহাসাগরে।

০৭ ১৫
লাইফজ্যাকেট-লাইফবোট পাননি, এমন অনেকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন মহাসাগরের জলে। তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রাণ হারিয়েছিলেন আতঙ্কে। আতঙ্কটুকু কাটিয়ে যাঁরা সাঁতার কাটবেন বলে ঠিক করেছিলেন, তাঁদের গ্রাস করেছিল হিমাঙ্কের নীচে থাকা মহাসাগরের জল। হাইপোথার্মিয়ার শিকার হয়েছিলেন তাঁরা।

লাইফজ্যাকেট-লাইফবোট পাননি, এমন অনেকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন মহাসাগরের জলে। তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রাণ হারিয়েছিলেন আতঙ্কে। আতঙ্কটুকু কাটিয়ে যাঁরা সাঁতার কাটবেন বলে ঠিক করেছিলেন, তাঁদের গ্রাস করেছিল হিমাঙ্কের নীচে থাকা মহাসাগরের জল। হাইপোথার্মিয়ার শিকার হয়েছিলেন তাঁরা।

০৮ ১৫
টাইটানিক-এর সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটটোলার নিজের অভিজ্ঞতায় বলেছিলেন, সে সময় অতলান্তিক মহাসাগরের জল যেন সারা দেহে হাজার হাজার ছুরি বসিয়ে দিচ্ছিল। এই অবস্থায় প্রাণ হারান অসং‌খ্য অসহায় যাত্রী। এখানেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শেফ চার্লস জোঘিন। বলা হয়, তিনি-ই শেষ ব্যক্তি যিনি ডুবন্ত টাইটানিক থেকে ঝাঁপিয়েছিলেন অতলান্তিক মহাসাগরে। তার পর টানা তিন ঘণ্টা তিনি ঠান্ডা কনকনে জলে সাঁতার কেটেছিলেন বা ভেসে থেকেছিলেন। ১৫ এপ্রিল ভোরবেলা তাঁকে দেখতে পেয়ে তুলে নেওয়া হয় লাইফবোটে।

টাইটানিক-এর সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটটোলার নিজের অভিজ্ঞতায় বলেছিলেন, সে সময় অতলান্তিক মহাসাগরের জল যেন সারা দেহে হাজার হাজার ছুরি বসিয়ে দিচ্ছিল। এই অবস্থায় প্রাণ হারান অসং‌খ্য অসহায় যাত্রী। এখানেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শেফ চার্লস জোঘিন। বলা হয়, তিনি-ই শেষ ব্যক্তি যিনি ডুবন্ত টাইটানিক থেকে ঝাঁপিয়েছিলেন অতলান্তিক মহাসাগরে। তার পর টানা তিন ঘণ্টা তিনি ঠান্ডা কনকনে জলে সাঁতার কেটেছিলেন বা ভেসে থেকেছিলেন। ১৫ এপ্রিল ভোরবেলা তাঁকে দেখতে পেয়ে তুলে নেওয়া হয় লাইফবোটে।

০৯ ১৫
নিজেকে বাঁচানোর আগে চার্লস জোঘিন আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন টাইটানিক-এ আটকে থাকা শেষ যাত্রীকেও রক্ষা করতে। জাহাজের বিভিন্ন অংশে পাগলের মতো ছোটাছুটি করছিলেন তিনি। জাহাজ থেকে মহাসাগরের জলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন ডেক চেয়ার। যাতে সেগুলো ধরে ভেসে থাকতে পারে সাগরের জলে হাবুডুবু খাওয়া মানুষ।

নিজেকে বাঁচানোর আগে চার্লস জোঘিন আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন টাইটানিক-এ আটকে থাকা শেষ যাত্রীকেও রক্ষা করতে। জাহাজের বিভিন্ন অংশে পাগলের মতো ছোটাছুটি করছিলেন তিনি। জাহাজ থেকে মহাসাগরের জলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন ডেক চেয়ার। যাতে সেগুলো ধরে ভেসে থাকতে পারে সাগরের জলে হাবুডুবু খাওয়া মানুষ।

১০ ১৫
চার্লস যখন টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দেন, তত ক্ষণে জাহাজটি মোচার খোলের মতো দু’টি অংশে ভেঙে গিয়েছে। একটি অংশ পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। বাকিটাও ডুবতে থাকা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সে সময় ডেকের রেলিংয়ের সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে জলে ঝাঁপ দেন তিনি। তাঁর পরে আর কেউ ডুবন্ত জাহাজ থেকে প্রাণে বাঁচতে পারেননি।

চার্লস যখন টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দেন, তত ক্ষণে জাহাজটি মোচার খোলের মতো দু’টি অংশে ভেঙে গিয়েছে। একটি অংশ পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। বাকিটাও ডুবতে থাকা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সে সময় ডেকের রেলিংয়ের সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে জলে ঝাঁপ দেন তিনি। তাঁর পরে আর কেউ ডুবন্ত জাহাজ থেকে প্রাণে বাঁচতে পারেননি।

১১ ১৫
একাধিক লাইফবোটে স্থানাভাবে তাঁর জায়গা হয়নি। শেষে তাঁরই অধীনে থাকা এক রাঁধুনি তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি-ই জল থেকে টেনে তোলেন চার্লসকে। অবশেষে তাঁর জায়গা হয় লাইফবোটে। তারপর সেখান থেকে আরএমএস কার্পাথিয়া জাহাজে করে বাকি উদ্ধার পাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে ফিরেছিলেন চার্লস।

একাধিক লাইফবোটে স্থানাভাবে তাঁর জায়গা হয়নি। শেষে তাঁরই অধীনে থাকা এক রাঁধুনি তাঁকে চিনতে পারেন। তিনি-ই জল থেকে টেনে তোলেন চার্লসকে। অবশেষে তাঁর জায়গা হয় লাইফবোটে। তারপর সেখান থেকে আরএমএস কার্পাথিয়া জাহাজে করে বাকি উদ্ধার পাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে ইংল্যান্ডে ফিরেছিলেন চার্লস।

১২ ১৫
এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার পরেও কিন্তু সমুদ্রের নেশা কাটাতে পারেননি তিনি। বার বার সাগরে ভেসেছেন বিভিন্ন জাহাজে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সামিল হয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও। পরবর্তীকালে তিনি পাকাপাকি ভাবে চলে এসেছিলেন নিউজার্সিতে। বিয়ে করেছিলেন অ্যানি এলেনর হাওয়ার্থ কোল-কে। তবে এটা ছিল তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। অ্যানিরও ছিল তৃতীয় বিয়ে। তাঁর আগের দুই পক্ষের স্বামী প্রয়াত হয়েছিলেন। ১৯৪৩ সালে মারা যান অ্যানিও। এই মানসিক আঘাত আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি চার্লস। পরের বছর কাজ থেকে অবসর নেন তিনি। আর কোনওদিন সাগরে যাননি।

এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার পরেও কিন্তু সমুদ্রের নেশা কাটাতে পারেননি তিনি। বার বার সাগরে ভেসেছেন বিভিন্ন জাহাজে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সামিল হয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও। পরবর্তীকালে তিনি পাকাপাকি ভাবে চলে এসেছিলেন নিউজার্সিতে। বিয়ে করেছিলেন অ্যানি এলেনর হাওয়ার্থ কোল-কে। তবে এটা ছিল তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। অ্যানিরও ছিল তৃতীয় বিয়ে। তাঁর আগের দুই পক্ষের স্বামী প্রয়াত হয়েছিলেন। ১৯৪৩ সালে মারা যান অ্যানিও। এই মানসিক আঘাত আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি চার্লস। পরের বছর কাজ থেকে অবসর নেন তিনি। আর কোনওদিন সাগরে যাননি।

১৩ ১৫
চার্লসের প্রথম স্ত্রী ছিলেন লুইস উডওয়ার্ড। ডগলাসের বাসিন্দা এই তরুণীকে চার্লস বিয়ে করেছিলেন ১৯০৬ সালে। তাঁদের মেয়ের নাম ছিল অ্যাগনেস লিলিয়ান। ছেলের নাম, রোল্যান্ড আর্নেস্ট। তৃতীয় সন্তান রিচার্ডের জন্ম দেওয়ার সময় ১৯১৯ সালে মারা যান লুইস। মাতৃহীন শিশু রিচার্ডও বেশি দিন বাঁচেনি।

চার্লসের প্রথম স্ত্রী ছিলেন লুইস উডওয়ার্ড। ডগলাসের বাসিন্দা এই তরুণীকে চার্লস বিয়ে করেছিলেন ১৯০৬ সালে। তাঁদের মেয়ের নাম ছিল অ্যাগনেস লিলিয়ান। ছেলের নাম, রোল্যান্ড আর্নেস্ট। তৃতীয় সন্তান রিচার্ডের জন্ম দেওয়ার সময় ১৯১৯ সালে মারা যান লুইস। মাতৃহীন শিশু রিচার্ডও বেশি দিন বাঁচেনি।

১৪ ১৫
কিন্তু চার্লস জোঘিন নিজে কী করে অতলান্তিকের জলে অত ক্ষণ জীবিত থাকলেন? তিনি নিজে বিশ্বাস করতেন, অতিরিক্ত মদ্যপানই এর কারণ। তিনি এমনিতেই সুরাসক্ত ছিলেন। টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে প্রচুর মদ্যপান করেছিলেন। ফলে অ্যালকোহলের প্রভাবে হাইপোথার্মিয়া তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

কিন্তু চার্লস জোঘিন নিজে কী করে অতলান্তিকের জলে অত ক্ষণ জীবিত থাকলেন? তিনি নিজে বিশ্বাস করতেন, অতিরিক্ত মদ্যপানই এর কারণ। তিনি এমনিতেই সুরাসক্ত ছিলেন। টাইটানিক থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে প্রচুর মদ্যপান করেছিলেন। ফলে অ্যালকোহলের প্রভাবে হাইপোথার্মিয়া তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

১৫ ১৫
জীবনে এত ঝড় সহ্য করেও দীর্ঘজীবী ছিলেন রিচার্ড জোঘিন। ১৯৫৬ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি প্রয়াত হন ৭৮ বছর বয়সে। জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক’ ছবিতে চার্লস জোঘিনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন লায়াম টুহাই। (ছবি: শাটারস্টক এবং সোশ্যাল মিডিয়া)

জীবনে এত ঝড় সহ্য করেও দীর্ঘজীবী ছিলেন রিচার্ড জোঘিন। ১৯৫৬ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি প্রয়াত হন ৭৮ বছর বয়সে। জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক’ ছবিতে চার্লস জোঘিনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন লায়াম টুহাই। (ছবি: শাটারস্টক এবং সোশ্যাল মিডিয়া)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy