Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Prachanda

প্রচণ্ডকে দিল্লি আনার তৎপরতা, নেপাল সফর

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আগামী মাসের গোড়াতেই বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রাকে পাঠানো হবে নেপালে। তিনি সরকারিভাবে নতুন জোট সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় শুরু করবেন।

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড।

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫১
Share: Save:

পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাব শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত এবং চিনের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। অতি দ্রুত তাঁর সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি করার জন্য তৎপর সাউথ ব্লক। অন্য দিকে চিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রচণ্ড আসায় চিন-নেপাল ‘কৌশলগত সহযোগিতায় নতুন অধ্যায়’ খুলতে চলেছে।

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আগামী মাসের গোড়াতেই বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রাকে পাঠানো হবে নেপালে। তিনি সরকারিভাবে নতুন জোট সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় শুরু করবেন। আর তারপরই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাঠমান্ডু সফরের কথা। নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী যাতে শীঘ্রই নয়াদিল্লি সফরে আসেন, তার জন্য আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।

ভারত এটা ভুলছে না যে ২০০৮ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে প্রচণ্ড প্রথম সফরেই গিয়েছিলেন বেজিং, ঐতিহ্য ভেঙে। কারণ, বিগত ৫০ বছর তাঁর সব পূর্বসূরি আসনে বসার পর প্রথম গন্তব্য হিসেবে ভারতকেই বেছে নিয়েছেন। তবে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম সরকারি সফরে নয়াদিল্লি এসেছিলেন প্রচণ্ড। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, নেপালের নতুন সরকারকে প্রথম থেকেই সমস্ত রকম আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেবে ভারত। বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ এবং সে দেশের মুদ্রাস্ফীতিকে কমানোর জন্য সব চেষ্টা করা হবে।

ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নেপালের নতুন সরকারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে বেজিং-ও। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সং মাও নিং সোমবার বলেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেপালের সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা গভীর করার জন্য আমরা প্রস্তুত।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE