৩৭ বছর বয়সে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন জেসন আরডে। ছবি: সংগৃহীত।
১৮ বছর পর্যন্ত লিখতে বা পড়তে পারতেন না দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ক্ল্যাফামের বাসিন্দা জেসন আরডে। কথা বলতে শুরু করেছিলেন ১১ বছর বয়সের পর। তিনিই এখন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ছোট থেকে অটিজ়ম আক্রান্ত হওয়ার কারণে জেসনের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ দেরিতে শুরু হয়েছিল। বহু দিন পর্যন্ত কথাও বলতে পারতেন না তিনি। কিন্তু ছোট থেকেই সংগ্রাম করে ৩৭ বছর বয়সে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
জেসনকে ছোটবেলায় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁকে বাড়িতে প্রচুর নিয়মের মধ্যে বাঁচতে হবে। কিন্তু তা মেনে নিতে চাননি জেসন। শোওয়ার ঘরের দেওয়ালে তিনি লিখেছিলেন তাঁর জীবনের লক্ষ্য। তাতে লেখা ছিল যে ‘আমি অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজে কাজ করতে চাই।’ সেখান থেকেই তাঁর লড়াই শুরু।
জীবনে একাধিক ঘাত-প্রতিঘাতের পর জেসন দু’টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সারে’ থেকে শারীরিক শিক্ষা নিয়েও ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ‘লিভারপুল জন মুরস’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডির গবেষণা শেষ করেন। ২০১৮-তে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় এবং গ্লাসগোর ‘স্কুল অব এডুকেশন’ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক হন।
জেসন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নেলসন ম্যান্ডেলার জেল থেকে মুক্তি এবং ১৯৯৫ সালে রাগবি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় তাঁকে গভীর ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy