Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ব্রিটিশ পরিবারকে মারধর তাইল্যান্ডে

হুয়া হিনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক ব্রিটিশ বৃদ্ধ দম্পতি। সঙ্গে তাঁদের বছর চল্লিশেকের ছেলে। দুমদাম ঘুষি মেরে যুবকটিকে মাটিতে শুইয়ে দিল স্থানীয় কিছু তাই যুবক। রেহাই নেই তাঁর বাবা-মারও।

অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন তিন জন। তাইল্যান্ডের হুয়া হিনে। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে।

অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন তিন জন। তাইল্যান্ডের হুয়া হিনে। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪৬
Share: Save:

হুয়া হিনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক ব্রিটিশ বৃদ্ধ দম্পতি। সঙ্গে তাঁদের বছর চল্লিশেকের ছেলে। দুমদাম ঘুষি মেরে যুবকটিকে মাটিতে শুইয়ে দিল স্থানীয় কিছু তাই যুবক। রেহাই নেই তাঁর বাবা-মারও। মহিলার মুখেও এসে পড়ল সজোরে এক ঘুষি। অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলেন তিন জন। তবু বন্ধ হলো না লাথি-কিল-চড়ের তোড়। দু’মিনিটের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পরেই সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বে।

ব্যাঙ্ককের ২৫০ কিলোমিটার দূরে পর্যটকদের প্রিয় এই সমুদ্র সৈকতটি শান্তিপূর্ণ বলেই বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। সেই হুয়া হিনের রাস্তায় ব্রিটিশ পর্যটকদের উপর এ হেন আচরণে প্রশ্ন উঠছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তাইল্যান্ডের জনপ্রিয়তা নিয়েও।

ঘটনাটা ১৩ এপ্রিলের। সময় রাত দু’টো। তাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উত্সবের মেজাজে মশগুল ছিল গোটা শহর। রাস্তাতেও ছিল জনজোয়ার। একটি বার থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন লুইস আওয়েন (৬৮), তাঁর স্ত্রী রোজমেরি (৬৫) ও ছেলে জন (৪৩)। প্রথমে বচসা বাধে জন ও তাই এক যুবকের মধ্যে। তাই ছেলেটির হাতে ছিল মদের বোতল। ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি থেকেই কথা বাড়তে বাড়তে ঘুষি আর লাথিতে গিয়ে ঠেকে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই তিন জন। কিন্তু আমি ছাড়া আর কেউই ওঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি।’’ আর এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতাও ভয়াবহ। ওই তিন জনকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি এমন ভাবে আহত হন, যে তাঁর দাঁতের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।

এই ঘটনায় সব চেয়ে বেশি আহত হয়েছেন রোজমেরি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাতের জন্য এখনও ব্যাঙ্ককের একটি হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। লুইস ও জনের মাথায় সেলাই করা হয়েছে।

ঘটনার দু’দিন পরেই পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছিল। আজ আরও এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাই ও ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই নিজেদের বয়ান দিয়েছে ওই পরিবার। অভিযুক্তরা বলেছে, ‘‘আমরা আমাদের কাজের জন্য লজ্জিত। মদের ঘোর না থাকলে আমরা এমন কাজ করতাম না।’’

তবে কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই তাইল্যান্ডে বিদেশি পর্যটকদের আক্রমণের ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে স্থানীয়দের মত। ২০১৪ সালে কো তাও দ্বীপে খুন হয়েছিলেন দুই ব্রিটিশ নাগরিক। তাইল্যান্ড বিদেশ দফতরের পরিসংখ্যান বলে, এখানে বছরে কমপক্ষে দশ লক্ষ ব্রিটিশ বেড়াতে আসেন।

অন্য বিষয়গুলি:

British family Thailand
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE