জাইর বোলসোনারো ফাইল চিত্র
বিতর্কিত দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সমর্থকদের মিছিল দিয়েই মঙ্গলবার শুরু হল ব্রাজিলের ১৯৯ তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন।
ক্রমশ জনপ্রিয়তা কমছে তাঁর। বামপন্থী নেতা লুলা ডি’সিলভার কাছে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা, দেশের দুর্বল অর্থনীতি ও সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ক্রমশ বেড়ে চলা বিবাদেও ব্যতিব্যস্ত প্রেসিডেন্ট। তা সত্ত্বেও তিনি মনে করেন এই মিছিল পরবর্তী নির্বাচনে তাঁর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আরও মজবুত করল।
গত সপ্তাহ থেকেই সমর্থকদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে উত্তেজিত করার চেষ্টায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহে একটি বক্তৃতায় তিনি বলেন, “এখন স্বাধীনতা
অর্জনের সময় এসেছে। কেউ আমাদের উপর কোনও জোর খাটাতে পারবে না। শুধু আমাদের ইচ্ছেই খাটবে!” সম্প্রতি বোলসোনারো ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে তাঁর ইঙ্গিত ছিল সে দিকেই। অভিযোগ, প্রশাসনে থেকেও নির্বাচন নিয়ে একের পর এক ভুয়ো তথ্য প্রচার করার। এই অভিযোগের বিরুদ্ধেই সমর্থকদের নিয়ে ‘যুদ্ধ ঘোযণা’ করেন বোলসোনারো।
পিছিয়ে নেই তাঁর বিরোধীরাও। ‘বোলসোনারো নিপাত যাও’ স্লোগান সমেত মিছিল করেছেন তাঁরাও। বিরোধীদের দাবি, ৬৬ বছর বয়সি প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের মিছিল আসলে গণতন্ত্র বিরোধী। এমন কি, অনেকে এই মিছিলের সঙ্গে আমেরিকার ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হানার মিলও খুঁজে পাচ্ছেন।
সোমবার রাত থেকেই তাই দলে-দলে ব্রাসিলিয়া এবং সাও পাওলো শহরে এসে জড়ো হন সমর্থকেরা। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয় দুই শহর জুড়েই। মঙ্গলবার ভোরে ব্রাসিলিয়ায় সমর্থকদের সঙ্গে একপ্রস্ত সংঘর্ষও হয় পুলিশের। মঙ্গলবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় আলভোরাদা প্যালেসে একটি ছোট জমায়েতের মাধ্যমে ব্রাজিলের পতাকা উত্তোলন হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy