মানুষের মাঝে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া।
তিনি প্রধানমন্ত্রী, তিনি চিকিত্সকও। তাই সপ্তাহের শেষে তাঁকে পাওয়া যায় রোগীদের মাঝে, অপারেশন থিয়েটারে। চিকিত্সক লোটে শেরিং এক বছর আগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তিনি আজও প্রতি শনিবার হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখেন, অপারেশন করেন। কারণ ভুটানের স্বনামধন্য চিকিত্সকদের অন্যতম তিনি। নিজের ভালবাসার পেশা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান না।
কেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও হাসপাতালে ছুটে যান? তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেরিং জানিয়েছেন, চাপ কমাতে কেউ গল্ফ খেলেন, কেউ তিরন্দাজি করেন। কিন্তু তাঁর ভাল লাগার কাজ হল অপারেশন করা। আর তিনি আজীবন এই কাজটা করতে চান। এমনকি সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দিকে যান, তাঁর মনে হয় যদি গাড়ি ঘুরিয়ে হাসপাতালে চলে আসতে পারতেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর কাছে রোগীর চিকিত্সা করা আর দেশ চালানো একই রকম। হাসপাতালে তিনি যেমন রোগীকে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করেন। তারপর প্রয়োজন মতো চিকিত্সা করে রোগ সারান। তেমনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে, দেশের রাজনীতির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখে তা ঠিক করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবারওহাসপাতালে যান। সেখানে শিক্ষানবিশ ও নতুন চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
এমনিতেই হিমলায়ের কোলের দেশটি‘সুখী দেশ’ হিসেবে নাম কিনেছে, তার ওপর এবার চিকিত্সক-প্রধানমন্ত্রীর জীবন যাপন ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেন।
শেরিং বাংলাদেশ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিত্সার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তবে সে বছর তাঁর দল সাফল্য পায়নি। গতবছর তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন : ভিডিয়ো গেম খেললে এবার ফিট থাকবেন
আরও পড়ুন : ৮০ বছরে ডন বৈঠক দিচ্ছেন মিলিন্দের মা, ভাইরাল ভিডিয়ো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy