বাংলাদেশে একের পর এক ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। কোথাও ভাঙচুর, চুরি কোথাও আবার ধর্ষণ, খুনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। কবে বাংলাদেশে শান্তি ফিরবে? উন্নতি হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির? এমন নানা প্রশ্নই ঘুরছে সে দেশের বহু মানুষের মনে। সোমবার আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পর থেকেই পরিস্থিতি টের পাবেন।’’ অর্থাৎ, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। তা সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই কার্যকর হবে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবালয় কক্ষে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন জাহাঙ্গীর। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘‘দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করতেই আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। দেশেরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’’ সন্ধ্যার পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টাবে বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। জাহাঙ্গীর জানান, তিনি সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি ‘গুরুত্ব সহকারে’ দেখার জন্য। রাজধানী ঢাকাকে এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানান তিনি। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হবে নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি।
কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিফুল আহমেদ জানান, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকার যে সব জায়গা থেকে বেশি অশান্তির অভিযোগ উঠছে, সেই সব জায়গায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং নৌবাহিনীর যৌথ ভাবে তল্লাশি ও টহলদারি করবে।
আরও পড়ুন:
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবালয় কক্ষে জাহাঙ্গীর যখন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন, তখন মন্ত্রকের বাইরে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’–এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। সোমবার আন্দোলনকারীরা মিছিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিকে এগোয়। হাতে ব্যানার, মুখে স্লোগান। যদিও পুলিশ মাঝপথেই আন্দোলনকারীদের মিছিল আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। শেষ পর্যন্ত পুলিশি বাধার মুখে পড়ে মিছিল আর এগোয়নি। তবে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাহাঙ্গীরকে পদত্যাগ করতে হবে। না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা।