বাংলাদেশি মডেল তথা অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ৩০ দিন কারাগারে আটকে রাখার নির্দেশ দিল সে দেশের আদালত। বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা (বাংলাদেশের সময়) নাগাদ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বাংলাদেশে কোন ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করা হয়? ‘প্রথম আলো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকি জানান, কোনও ব্যক্তি যদি এমন কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, যাতে সমাজ এবং দেশের ক্ষতি হতে পারে সেই ক্ষেত্রে ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিকর কাজের থেকে বিরত রাখতে আটক করা যেতে পারে ওই আইন প্রয়োগ করে।
বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বুধবার রাতে মেঘনার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার পর তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যখন তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছিল, সেই সময় মেঘনা একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। সেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। যদিও পরে ওই লাইভ মুছে দেওয়া হয় ফেসবুকের পাতা থেকে।
আরও পড়ুন:
মেঘনাকে কেন আটক করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফারুকি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি মডেলের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনাকে আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ৩০ দিন আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।