মৃত সাংবাদিক রাহানুমা সারাহ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের এক মহিলা সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে ঢাকার একটি ঝিল থেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হাতিরঝিলে ওই সাংবাদিকের দেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। ওই সাংবাদিকের স্বামীর দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রী। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘মরে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভাল।’’ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজ়েদ দাবি করেছেন, দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর ‘আবার আক্রমণ’ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হাতিরঝিলে ওই সাংবাদিকের দেহ ভেসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর নাম রাহানুমা সারাহ (৩২)। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করতেন তিনি। পুলিশ আধিকারিক বাচ্চু মিয়াঁ জানিয়েছেন, রাতে সারাহকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন পথচারীরা। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
এই নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার)হ্যান্ডলে সরব হয়েছেন হাসিনার পুত্র সজীব। তিনি লিখেছেন, ‘‘গাজি টিভি নিউজ়রুমের এডিটর রাহনুমা সারাহের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঢাকার হাতিরঝিল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আবার হামলা। গাজি টিভি ধর্মনিরপেক্ষ সংবাদ চ্যানেল। তাঁর মালিক গোলাম দস্তগীর গাজিকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
‘প্রথম আলো’-কে সারাহর স্বামী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরেননি তাঁর স্ত্রী। পরিবর্তে এক জনকে দিয়ে বাড়ি ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করলেন সারাহ জানিয়েছিলেন, ব্যস্ত রয়েছেন। শুভ্র আরও জানিয়েছেন, সাত বছর আগে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে কখনও ঝগড়া হয়নি। তবে সম্প্রতি স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন সারাহ। সরকারি ভাবে বিচ্ছেদের পথেও এগোতে চেয়েছিলেন। তবে দেশের পরিস্থিতির কারণে তা করা হয়ে ওঠেনি।
সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, মৃত্যুর এক দিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন সারাহ। সেখানে ফাহিম ফয়জল নামে এক ব্যক্তিকে ট্যাগ করে লিখেছিলেন, ‘‘তোমার মতো এক জন বন্ধু থাকা খুব সুন্দর। ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করুন। আশা করি, শীঘ্রই নিজের স্বপ্নপূরণ করবে। আমি জানি, আমাদের এক সঙ্গে অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা পূরণ হল না বলে ক্ষমাপ্রার্থী। জীবনের সব ক্ষেত্রে ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করুন।’’ অন্য একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘মরে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy