সম্প্রতি হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টি, জেডি(ইউ)-র মতো ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের দাবিতে চাপে পড়েছিল কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের বহু আসনে দেখা গিয়েছে শরিকি লড়াই। বাংলাদেশের এ বারের ভোটেও তারই ছায়া দেখা যাচ্ছে। টানা ১৪ বছর নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে এ বার বেশ কিছু আসনে সহযোগী দল বা গোঁজ প্রার্থীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অনেক শরিকই আসন চেয়ে দরবার করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা তিন শরিকের জন্য জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের সাতটি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর বাইরে আর কোনও আসন ছাড়া সম্ভব নয়।’’ এর ফলে শরিক দলগুলির অসন্তোষ তৈরি হবে কি না, জানতে চাওয়া হলে তাঁর উত্তর— ‘‘ওঁদের বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাসিনার দলের তরফে ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-কে তিনটি করে আসন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল। আনোয়ার হুসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ছাড়া হয়েছিল একটি আসন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে গণনা। প্রধান বিরোধী দল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্বে কোনও সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হলে তারা অংশ নেবে না।