আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। —ফাইল চিত্র।
যুদ্ধের জেরে আরও অবনতি হচ্ছে প্যালেস্টাইনের মানুষজনের অবস্থার। রবিবার গভীর রাতে চলা ইজ়রায়েলি হামলার জেরে এখনও পর্যন্ত রাফায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহু মহিলা এবং শিশু। যদিও প্যালেস্টাইনের হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৬ জন। এরই মধ্যে রিয়াধের একটি সভায় আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করলেন, যুদ্ধবিরতির পথে একমাত্র বাধা সৃষ্টি করছে হামাস। তাদের উচিত ইজ়রায়েলের বন্দি বিনিময়ের ‘অত্যন্ত উদার’ প্রস্তাব মেনে নেওয়া।
গাজ়ায় ‘গণহত্যা’ চালাতে যে ভাবে আমেরিকার দেওয়া অস্ত্রের ব্যবহার করছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নানা মহল। গুঞ্জনও উঠেছে যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ ভাঙার অভিযোগ নিয়ে গিয়েছে। যদিও আইসিসি এ বিষয়ে কোনও রায় দেয়নি এখনও।
এই আবহে রিয়াধে আয়োজিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একটি সভায় আজ ব্লিঙ্কেন বললেন, “হামাস যেন দ্রুত ইজ়রায়েলের ‘অত্যন্ত উদার’ প্রস্তাবটি মেনে নেয় এবং ইজ়রায়েলের বন্দিদের মুক্তি দেয়।” ব্লিঙ্কেনের দাবি, হামাসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা হলেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, মিশরে যাচ্ছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। গাজ়া স্ট্রিপের হামাসের ডেপুটি প্রধান, কাহলিল আল-হায়া জানিয়েছেন, কায়রোতে হওয়া সভায় তাঁরা ইজ়রায়েলের প্রস্তাবের জবাব দেবেন। প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েলের শান্তি প্রস্তাবকে দু’টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে গাজ়ায় বন্দি ১৩০ জন ইজ়রায়েলির মধ্যে জনা চল্লিশেককে ছেড়ে দেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে। বিনিময়ে ইজ়রায়েলি জেলে বন্দি কিছু প্যালেস্টাইনিকেও ছেড়ে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্বে ‘দীর্ঘমেয়াদি’ ভিত্তিতে শান্তি বজায় রাখা হবে।
তবে, এত কিছুর মাঝেও ক্রমাগত ইজ়রায়েলি হামলা চলছে গাজ়ায়। রবিবার রাত থেকে ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে রাফা সীমান্তে নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু বসতি। এ-ও জানা গিয়েছে, রবিবার গাজ়ার একটি ক্যানসার হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সব পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে যান চিকিৎসক-রোগীরা। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় বহু মানুষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy