ছবি: এএফপি
পলক ফেলার আগেই আকাশছোঁয়া পেল্লায় আবাসনটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল রাস্তায়। মুহূর্তে ধুলোয় অন্ধকার চারপাশ। দু’একটা গাড়ি পড়িমরি করে ছুটল নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
থরথর করে কাঁপছিল পুরো রেস্তরাঁটাই। প্রাণভয়ে তাই রান্নাঘরের টেবিলের নীচেই আশ্রয় নিলেন রেস্তরাঁ-কর্মীরা। তুরস্কের পশ্চিম উপকূলবর্তী ইজ়মিরে ততক্ষণে আছড়ে পড়েছে মিনি সুনামিও। এজিয়ান সাগরের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভাসছে শহর। কাল এখানে এবং গ্রিসের সামোস শহরে ভূমিকম্প আছড়ে পড়ার পরে আজ দিনভর এমনই সব কিছু ছবি ঘুরল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। উৎসস্থল ছিল গ্রিসের
কার্লোভাসি শহরের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৪ কিলোমিটার নীচে। স্থানীয় সময় বেলা ১২টা নাগাদ প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। তার পর অন্তত ৫০০টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে বলে দাবি ইস্তানবুলের। যার মধ্যে অন্তত ২৩টির মাত্রা ছিল চারেরও বেশি। তুরস্কে আজ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯। একজন মারা গিয়েছেন জলের তোড়ে। গ্রিসের সামোস দ্বীপে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। শুধু তুরস্কেই আহত অন্তত ৮০০। ইজ়মিরে অন্তত ২০টি আবাসন কার্যত ধুলোয় মিশেছে। উদ্ধারকার্য চলছে। আশঙ্কা, এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষ আটক।
গ্রিসে তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর না-মিললেও, পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে আজই ফোনে কথা হয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের। ভূমিকম্প-পরবর্তী তুরস্কের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। প্রয়োজনে জরুরিকালীন চিকিৎসা পরিষেবার আশ্বাসও পেয়েছে ইস্তানবুল। দিনের শেষে সুখবরও মিলেছে। ইজ়মির প্রদেশে ধসে যাওয়া একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে থাকার পরে আজ উদ্ধার করা হয়েছে তিন সন্তান-সহ এক তুর্কি মহিলাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy