বিমান হামলায় নিথর। ত্রিপোলির দক্ষিণে শরণার্থী-আটক কেন্দ্রে। এএফপি
ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এ বার বিমান হামলা শরণার্থী-আটক কেন্দ্রে। আজ ভোর রাতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে এই হামলায় কম করে ৪৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর। আহত অন্তত ১৩০। এই হামলার পিছনে ‘ওয়ারলর্ড’ তথা দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান খলিফা হাফতারের সরকার-বিরোধী সংগঠনকে দায়ী করেছে লিবিয়ার রাষ্ট্রপুঞ্জ সমর্থিত সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জ এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে সুর চড়ালেও পাল্টা লিবিয়া প্রশাসনকেই দুষছে হাফতার-বাহিনী।
তখনও দিনের আলো ফোটেনি। তাজৌরার শিবিরে হামলা হয়েছে খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, প্রশাসন। সার-সার অ্যাম্বুল্যান্সে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে এসে লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক অফিসার বললেন, ‘‘গাঢ় অন্ধকারে প্রথমটায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের হেডলাইট পড়তেই দেখি, চারদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। ইতস্তত ছড়িয়ে রয়েছে মানুষের ছিন্নভিন্ন শরীর। বীভৎস।’’
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই শিবিরে শিশু ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন শরণার্থী থাকতেন। হামলায় যাঁরা রক্ষা পেয়েছেন, তাঁদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, এঁদের বেশির ভাগই লিবিয়া হয়ে ইউরোপে আশ্রয় নিতে চাওয়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ত্রিপোলির ওই এলাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জ সমর্থিত লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)-এর সঙ্গে হাফতারের স্বঘোষিত ‘লিবিয়া ন্যাশনাল আর্মি’ (এলএনএ)-র সংঘাত সম্প্রতি চরমে পৌঁছছে। সোমবারই জিএনএ বাহিনীকে ‘ব্যাপক বিমান হামলা’-র হুমকি দিয়েছিল এলএনএ। কিন্তু কেন শরণার্থী-আটক শিবিরকে নিশানা করা হল, তা স্পষ্ট নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এই হামলার কড়া নিন্দা করার পাশাপাশি একহাত নিয়েছে প্রশাসনকেও। তাদের প্রশ্ন, হুমকি থাকা সত্ত্বেও শরণার্থীদের কেন আগেই অন্যত্র সরানো হল না? হামলার পিছনে কারা, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী এলএনএ-র দাবি, তাদের যুদ্ধবিমান প্রথমে একটি সরকারপন্থী শিবিরে হামলা চালায়। যার জবাব দিতে গিয়েই এই ‘অঘটন’ ঘটিয়েছে জিএনএ বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy