বিমানে রাজকীয় পরিষেবা পাওয়ার চাবিকাঠি দিলেন ক্যাট কামলানি। ছবি: টিকটক ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে’— কবি সেই কবেই লিখে গিয়েছেন। একই পরামর্শ দিলেন এক বিমানসেবিকাও। তাঁর মতে, বিমানযাত্রায় বিমানসেবিকাদের থেকে রাজকীয় যত্নআত্তি পেতে চাইলে যাত্রীদেরও কিছু দিতে হবে। সামান্য সেই উপহার তা হলেই অসমান্য পরিষেবা হয়ে ধরা দেবে তাঁর কাছে।
ক্যাট কামলানি একজন বিমানসেবিকা। আবার এক জন টিকটক তারকাও বটে। ভিডিয়ো ভাগ করে নেওয়ার ওই জনপ্রিয় নেটমাধ্যমে তিনি মাঝে মধ্যেই বেড়াতে যাওয়া নিয়ে বিষয় ভাগ করে নেন। সেই সব পরামর্শ রীতিমতো প্রশংসিতও হয়। যার ফলে ক্যাটের অনুরাগী সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সাড়ে সাত লক্ষ ছোঁওয়ার মুখে। তবে তাঁর সাম্প্রতিক একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। ভিডিয়োতে ক্যাট নেটাগরিকদের বিমানযাত্রা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
বিমানযাত্রায় বিমানসেবিকারা যথাযথ পরিষেবা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। সেই সমস্যায় ক্যাটের দাওয়াই একটু অন্য রকম। তিনি বলেছেন, ‘‘বিমানসেবিকাদের কাজ মোটেই সহজ নয়। তাঁরা নানা জায়গায় দিনের পর দিন ঘুরে বেড়ান। এক দেশের সীমা থেকে অন্য দেশে গেলে বদলে যায় টাইম জোন। ফলে পর্যাপ্ত ঘুমোনোর সুযোগও পাওয়া যায় না অনেক সময়। এর উপর থাকে যাত্রীদের অসন্তোষ। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বিরক্তি সামলানোর ঝক্কি। তাই পরিষেবায় ছোটখাটো ভুল অস্বাভাবিক নয়।’’ তবে ক্যাট জানিয়েছেন, কোনও যাত্রী যদি বিমানসেবিকাকেই উপহার দেন, তাঁকে খুশি করেন, তবে তিনিও রাজকীয় যত্নআত্তি পাবেন।
ক্যাটের কথায় এর জন্য দামি উপহার লাগবে না। এক কাপ কফি কিনে খাওয়ালেও হবে। বা বিমানেরই উপহারের ট্রে থেকে হয়তো কোনও বিমানসেবিকাকে একটি লিপ বাম বা চকোলেট কিনে উপহার দিলেন। ক্যাটের কথায়, ‘‘এটুকু ভাললাগার প্রদর্শনই ওই যাত্রীর বিমানযাত্রার অভিজ্ঞতা বদলে দেবে। ক্যাটের কথায়, পুরো বিমানকর্মীদের দলটিই তাঁর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। এমনকি ওই যাত্রীকে কেমন দেখতে, তিনি কোথায় বসেছেন সবই মনে রাখবেন তাঁরা।’’
ক্যাটের এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই বহু বার দেখেছেন এবং নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকরা। কেউ ক্যাটের এই পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ আবার লিখেছেন, বিমানসেবিকা হিসেবে সকল যাত্রীর সমান যত্ন নেওয়াই তাঁর কর্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy