পাকিস্তানের চকওয়ালের এই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন মনমোহন সিংহ। ছবি: পিটিআই।
মেয়ে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি আবার সেখানে ফিরে যেতে চান কি না। জবাবে প্রয়াত মনমোহন সিংহ বলেছিলেন, ‘‘না। কারণ ওখানে আমার ঠাকুর্দা নিহত হন।’’ দেশভাগ ও দাঙ্গার কঠিন স্মৃতি সত্ত্বেও প্রয়াত মনমোহন সিংহের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক ছিল পাকিস্তানের গাহ গ্রামের। কারণ, সেটা যে তাঁর জন্মস্থান। তবে জন্মস্থানে আর ফিরতে পারেননি ‘মোহনা’। আজ চকওয়াল জেলার ওই গ্রামে স্মরণসভা করেন বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, গোটা গ্রামই শোকগ্রস্ত। মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের এক সদস্যই।
১৯৩২-এর ২৬ সেপ্টেম্বর গাহে জন্ম মনমোহনের। তাঁর বাবা গুরমুখ সিংহ ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী। ইসলামাবাদ-লাহোরের সংযোগকারী এম-২ সড়কের কাছে সবুজ মাঠে ঘেরা গাহ গ্রামটি তখন ছিল ঝিলম জেলার অন্তর্ভুক্ত। পরে সেটি চকওয়াল জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত গাহের স্কুলেই পড়েন মনমোহন।
মনমোহন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে উল্লসিত হন গাহের বাসিন্দারাও। ২০০৮-এ তাঁর স্কুলের বন্ধু রাজা মহম্মদ আলি দিল্লিতে এসে দেখা করেন মনমোহনের সঙ্গে। আজ তিনিও নেই। নেই মনমোহনের অন্য সহপাঠীরাও। গাহের স্মরণসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন মহম্মদ আলির ছেলে রাজা আশিক আলি। বাসিন্দাদের দাবি, মনমোহন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে পাক সরকার তাঁর জন্মস্থানকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছিল। উন্নতি হয়েছিল।
তবে একটাই আক্ষেপ থেকে যাবে গাহের বাসিন্দাদের। সে গ্রামে আর কোনওদিন আসতে পারেননি বন্ধুদের কাছে ‘মোহনা’ নামে পরিচিত ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী। বাসিন্দাদের দাবি, এখন আর মনমোহন না থাকলেও গাহে একটি বার আসুন তাঁর পরিবারের কেউ। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy