বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপর ফের চাপ বৃদ্ধি করল সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। শনিবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দীর্ঘ কাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়।” তাঁর নিশানায় যে ইউনূস সরকারই, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট।
ফখরুল বলেন, “মানুষের মধ্যে একটা ধারণা হচ্ছে, এই সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে। এটা করা সঠিক নয়।” শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেছিলেন, ভোটদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৭ হওয়া উচিত। ইউনূসের এই মন্তব্যে ‘জনমনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, “এখন তা হলে কী করতে হবে? নতুন করে আবার ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে।” এই বিষয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে এগোনো যেত বলে মতপ্রকাশ করেন ফখরুল।
ভোটারদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণের বিষয়টি ফখরুল নির্বাচন কমিশনের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে ছেড়ে দিন। তারা সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু উনি (ইউনূস) যখন বলে দেন, তখন এটা একটা চাপ তৈরি হয় নির্বাচন কমিশনের জন্য।”
আরও পড়ুন:
গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব ও দেশ ছেড়েছিলেন। ৮ অগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছিলেন ইউনূস। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনূসকে সমর্থন জানালেও তার পর থেকে ধাপে ধাপে বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নতুন নির্বাচনের আয়োজনের ক্ষেত্রে গড়িমসির অভিযোগও তুলেছে খালেদার দল।