তদন্তে পুলিশ আধিকারিকেরা। ছবি: রয়টার্স।
হঠাৎ করে ট্রাফিক কন্ট্রোলের ব্যারিকেড ভেঙে ধেয়ে এল সাদা গাড়িটা। তাতে ধাক্কা খেয়ে এক পুলিশ অফিসার মাটি থেকে উঠে গেলেন ১৫ ফুট উঁচুতে! সে দৃশ্য দেখে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে সেই অফিসারের দিকে ছুরি হাতে ছুটে গেল আততায়ী। তাঁকে জখম করে দৌড়ে পালাল সে। শনিবার রাতে অ্যালবার্টার পশ্চিম এডমন্টন শহরে এ ভাবেই ফিরে এল সন্ত্রাসের আতঙ্ক। ওই ব্যারিকেডের অদূরেই এক স্টেডিয়ামে চলছিল ফুটবল ম্যাচ। ওই গাড়িতে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর পতাকা লাগানো ছিল বলে দাবি পুলিশের।
এর কিছু ঘণ্টা পরে আবার অন্য একটি জায়গায় শহরতলির ওয়েন গ্রেৎজকি ড্রাইভ-এ চেক পয়েন্টে একটি ভ্যান আটক করে পুলিশ। দেখা যায়, ভ্যানের চালকের নামের সঙ্গে আগের গাড়ি চালকের নামের মিল রয়েছে। ধরা পড়তেই দ্রুত গতিতে ভ্যান নিয়ে চম্পট দেয় বছর তিরিশের ওই চালক। পুলিশ ধাওয়া করে তাকে। সেখান থেকে একটু এগিয়ে জ্যাসপার অ্যাভিনিউ। শনিবারের রাতে সেই রাস্তাতেও ফুটবল ভক্তদের ভিড়। পুলিশের দাবি, এই সময়ে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে যেতে যেতে চার পথচারীকে জখম করে ওই ভ্যানটি। একটা সময়ে অবশ্য উল্টে যায় সেটিও। পরে পুলিশ ওই লোকটিকে হেফাজতে নিয়েছে।
এই দু’টি ঘটনাতেই সন্ত্রাসের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে এডমন্টন পুলিশ। প্রথম ঘটনায় ছুরি নিয়ে বেশ কয়েক বার ওই অফিসারের গায়ে কোপ মারে আততায়ী। তিনি জখম হলেও আঘাত গুরুতর নয়। পুলিশপ্রধান রড নেখ্ট বলছেন, মনে হচ্ছে লোকটি একাই সন্ত্রাস ছড়াতে পথে নেমেছিল। তবে তার সঙ্গে অন্য কোনও দল বা গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার রাতে এডমন্টনের কমনওয়েলথ স্টে়ডিয়ামের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। ভিতরে তখন ফুটবল লিগের ম্যাচে দর্শকের ভিড়। তখনই গাড়ি নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে আততায়ী। ম্যাচে বড়সড় হামলা চালিয়ে প্রাণহানির ছক কষা হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই সম্ভাবনাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy