টহল: থমথমে শহর। বিস্ফোরণের পর কড়া সেনা পাহারায় কাবুল। শনিবার। ছবি: এএফপি।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় পরপর একাধিক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল আফগানিস্তান! নিহত অন্তত ২৩ জন।
গত কাল রাতভর ফারাহ প্রদেশের পশ্চিমে অংশে একটি সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় ১৮ জন আফগান সেনার মৃত্যু হয়েছে। জখম ২। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র দৌলত ওয়াজির বলেন, ‘‘গভীর রাতে জঙ্গিদের একটি বড় দল আক্রমণ করে ফারাহ-র বালা বালুক সেনা ঘাঁটি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, ১৮ জন সেনাকে হারিয়েছি আমরা।’’ হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান।
ও দিকে রাত পোহাতেই আজ সকালে ফের জঙ্গি হামলা। সকালে কাবুলের ব্যস্ততম কূটনীতিক এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। তিন জন নিহত হয়েছেন, জখম অন্তত পাঁচ, জানিয়েছেন উপ-অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি। তিনি বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে আটটা হবে। পাটভাঙা শার্ট-প্যান্ট-টাই পরিহিত এক জঙ্গি পায়ে হেঁটেই চেক পয়েন্টে পৌঁছয়। তার পর বিস্ফোরণ ঘটায়।’’ নিরাপত্তা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, আফগান গোয়েন্দা সংস্থার দফতরের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটেছে। তার কাছেই আবার মার্কিন দূতাবাস, ন্যাটোর সদর দফতরও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারপাশ। আওয়াজে আমার গাড়ির কাচ ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। চোখের সামনেই দেখি রাস্তাঘাট রক্তাক্ত। নিথর দেহ, লোকজন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।’’ গত ডিসেম্বরে কাবুলের ওই এলাকাতেই ঠিক একই ভাবে এক জঙ্গি পায়ে হেঁটে এসে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। সে বার ৬ জন নিহত হয়েছিলেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের।
আজ হেলমন্দ প্রদেশেও গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দু’জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে পরপর জঙ্গি হানায় বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। কখনও বিলাসবহুল হোটেলে হামলা তো কখনও ভিড়ে ঠাসা রাস্তায়, কখনও সেনা ছাউনিতে। এ বছরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছেন জঙ্গি হামলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy