আসানসোল আদালতে আসিফ খান। নিজস্ব চিত্র।
সিবিআই ডাকা সত্ত্বেও এখনও তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি মুকুল রায়। এ বার তাঁর ছেলের নামও তুলে আনলেন সারদা-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খান।
এ দিনই আবার আসিফের স্ত্রী তবসসুম অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে রাতের অন্ধকারে ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছে এক রাস্তার মাঝে ভ্যানে বসিয়ে রেখে দু’ঘণ্টা বেপাত্তা ছিল পুলিশ। আসিফ বেঘোরে মারা যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা তবসসুমের দু’দিন আগেই আসানসোল আদালতে গিয়ে আসিফ দাবি করেন, মুকুলের পরে মন্ত্রী ববি (ফিরহাদ) হাকিমকে ডাকবে সিবিআই। শনিবার সেই আদালতে দাঁড়িয়েই আসিফের দাবি, “ববির পরে মুকুল রায়ের ছেলেকে ডাকবে সিবিআই।” মুকুলের ছেলে, বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ও সারদা কাণ্ডে জড়িত? ঘাড় নেড়ে আসিফ দাবি করেন, “হ্যা।ঁ সে সারদার সুবিধা পেয়েছে।”
সিবিআই ডাকা মানেই সরাসরি গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাতৃণমূল নেতাদের অনেকের মনেই আপাতত এই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে। বিশেষত মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পরে এই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে। ব্যস্ততা থাকায় এখনই তিনি সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে পারবেন না জানিয়ে কলকাতা-দিল্লি করছেন মুকুল রায়। দল তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে কি না, শেষরক্ষা করতে তিনি অন্য কোনও শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়তে চাইছেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে এ বার শুভ্রাংশুর নাম ওঠায় তাঁর এবং দলের বিড়ম্বনা আরও বাড়ল।
শুভ্রাংশু অবশ্য সারদা-কাণ্ডে তাঁর কোনও রকম যোগ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমার যাবতীয় আয়-ব্যয়ের তথ্য আয়কর দফতরকে দেওয়া আছে। সাজানো তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।” তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি, সারদার টাকায় শুভ্রাংশু দামি গাড়ি কিনেছিলেন বলে এক সময়ে কানাঘুষো শোনা যায়। তবে শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর নিজের গাড়ি নেই। তাঁর স্ত্রীর একটি পুরনো ওয়াগন-আর আছে। তিনি নিজে যে সাদা স্করপিও গাড়িতে চড়েন, বিধায়ক হওয়ার পরে দল তাঁকে সেটি ব্যবহার করতে দিয়েছে।
মুকুল-শুভ্রাংশুর বাড়ি যেখানে, সেই কাঁচরাপাড়ার একটি সূত্রের দাবি, ২০০৯ সালে সারদা গোষ্ঠী নদিয়ার শিমুরালি ও চাকদহের মাঝে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি জমি কিনেছিল। তাতে সংস্থার বোর্ডও লাগানো হয়েছিল। যদিও সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরেই রাতারাতি সেই বোর্ড সরে যায়। দলের তরফে নদিয়া জেলা পর্যবেক্ষক মুকুল নিজেই। সে ক্ষেত্রে কার মদতে ওই সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের। সিপিএমের কাঁচরাপাড়া জোনাল সম্পাদক শম্ভু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত করলেই নেপথ্যে থাকা লোকেদের নাম বেরিয়ে আসবে। কাঁচরাপাড়ায় শাসকদলের প্রভাবশালী নেতারাও বাদ যাবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy