— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এ বার খুদে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের অভিনব নীতি নিল কেরলের স্কুল। কোচির একাধিক স্কুলে এ বার থেকে চালু হল ‘ইমোজি’ কিংবা ‘স্টার’-এর মাধ্যমে মূল্যায়ন। ইতিমধ্যেই এই পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে শহরের সিবিএসসি বোর্ডের নানা স্কুল।
২০২০ সালের নয়া শিক্ষানীতি (এনইপি) মেনেই মূল্যায়ন ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এ বার থেকে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের নম্বরের পরিবর্তে ‘ইমোজি’ কিংবা ‘স্টার’-এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। বদল আসছে পরীক্ষাতেও। এ বার থেকে লিখিত পরীক্ষার বদলে শিশুদের সারা বছরের কাজকর্ম, স্বাস্থ্য, আচার আচরণ, কথা বলার দক্ষতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে এই সার্বিক মূল্যায়ন পত্র বা ‘হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড’। চিরাচরিত মূল্যায়ন পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এই অভিনব পদ্ধতি শিশুদের আরও উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিশুরা নিজেরাও নিজেদের মূল্যায়ন করতে পারবে। মূল্যায়নের আগে কোনও শিশুর সম্পর্কে তার সহপাঠী এবং অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়াও সংগ্রহ করবে স্কুল। পঠন পাঠনেও আসছে পরিবর্তন। ত্রিপুনিতুরার এক স্কুলের অধ্যক্ষ প্রিয়া সি পিল্লাই বলেন, ‘‘গণিত এবং পরিবেশ বিষয়ে শিশুদের শেখানোর জন্য আমরা নানা বোর্ড গেমের সাহায্য নেওয়া শুরু করেছি। কেবল পুঁথিগত শিক্ষাই নয়, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাবার এবং শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপরেও নজর দিচ্ছি আমরা।’’ সিবিএসসি ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম খান বলছেন, ‘‘এই নয়া পঠনপাঠনের রীতি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের চাপ কমানোর পাশাপাশি অল্প বয়স থেকেই শিক্ষার্থীদের সামাজিক নানা ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠতেও সাহায্য করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy